বাংলার জাগ্রত মন্দির, যেখানে মনস্কামনা পূরণের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয় না

মনস্কামনা পূরণের পর ভক্তরা খুশি হয়ে এখানে সাধ্য অনুযায়ী দান করে যান।

মনস্কামনা পূরণের পর ভক্তরা খুশি হয়ে এখানে সাধ্য অনুযায়ী দান করে যান।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Pichhabani_Kali_Temple

দেবী মহিমা আর দৈব শক্তি বাংলার মাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। ঈশ্বরের কৃপালাভের জন্য এই বাংলার নানা মন্দিরে ভিড় লেগেই থাকে। এসব কোনও আজকের ব্যাপার না। অতীত থেকেই চলছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র তাই ছড়িয়ে আছে একের পর এক মন্দির। যার মধ্যে অনেক মন্দিরই খুব জাগ্রত। দিনের পর দিন ভক্তরা সেখান থেকে উপকার পেয়েছেন। স্থানীয় অঞ্চলে গিয়ে একটু কান পাতলেই সেসব উপকার পাওয়ার অলৌকিক কাহিনি শোনা যায়।

Advertisment

এমনই এক জাগ্রত মন্দির রয়েছে মেদিনীপুরের পিছাবনিতে। এখানকার দেবীমূর্তি ব্রোঞ্জের তৈরি। আনা হয়েছে বিদেশ থেকে। নিত্যপূজা তো হয়ই। তার সঙ্গে প্রতিবছর কার্তিক অমাবস্যায় হয় বিশেষ পুজো। যা চলে বেশ কয়েকদিন ধরে। অসংখ্য মানুষ এখানে মানত করেন। মন্দিরে অনেকে আবার ঢিলও বেঁধে দিয়ে যান। মনস্কামনা পূরণ হতেই আবার এই মন্দিরে ছুটে আসেন ঢিল খোলার জন্য। কার্তিক মাসে অমাবস্যার পুজোয় যাঁরা মানত করেন, তাঁরা দেবীকে মানত পূরণের পর মন্দিরে এসে পুজো দেন। সঙ্গে খুশি হয়ে সাধ্যমতো দক্ষিণা দেন। তাতেই প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মত মন্দিরের আয় হয়। এমনটাই দাবি এখানকার পুরোহিতের।

এই জাগ্রত মন্দিরে আসতে গেলে কলকাতা থেকে দিঘা সড়কপথে আসতে হবে। নামতে হবে পিছাবনি বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে দু'কিলোমিটারের মত দূরে রয়েছে পিছাবনি হাইস্কুল। তার প্রায় গায়ে এই মন্দির। আর, ট্রেনে আসলে নামতে হবে পিছাবনি স্টেশনে। মন্দিরের সামনেই রয়েছে পুকুর। অনেক ভক্ত সেই পুকুরে স্নান করে এই মন্দিরে পুজো দেন। আশপাশের অঞ্চল তো বটেই, মনস্কামনা পূরণের আশা নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকেও এই মন্দিরে ভক্তরা ছুটে আসেন। আর, ফলও পান বলেই তাঁদের দাবি।

Advertisment

আরও পড়ুন- জাগ্রত বহু প্রাচীন মন্দির, যার সৃষ্টিকাহিনি রয়েছে পুরাণেও

এই মন্দির বহু পুরোনো। আগে এখানে মাটির মূর্তি ছিল। জাগ্রত দেবী মনস্কামনা পূরণ করায় ভক্তরাই খুশি হয়ে দেবীর অষ্টধাতুর মূর্তিটি বানিয়ে দিয়েছেন। কার্তিক মাসের অমাবস্যার সময় এই মন্দিরের সামনে মেলাও বসে। মেলা চলে ১০ দিন ধরে।

Kali Puja pujo Temple