Advertisment

জাগ্রত নকশা মন্দির, বাংলার নতুন তারাপীঠ

ভক্তদের বিশ্বাস, বিপদ-আপদে এই মন্দিরে ছুটে এলে, তাঁদের বিপদ কেটে যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Naksha_Tara_Temple

উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। যশোর রোড বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বামনগাছি চৌমাথা পেরিয়ে তেঁতুলতলা মোড়। তার ডানদিক ধরে এগোলেই নকশার রাস্তা। প্রত্যন্ত গ্রাম এই নকশা। সেখানেই তৈরি হয়েছে বিখ্যাত নকশা মন্দির। বিখ্যাত, কারণ বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে এখানে প্রায় দু'লক্ষ ভক্ত ভিড় করেন। ভক্তদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে জাগ্রত এই মন্দিরের কথা। মন্দিরে প্রবেশের আগে স্বাগত জাগিয়ে লেখা রয়েছে, এই মন্দির সর্বমঙ্গলা মঙ্গলময়ী সতীমাতা তারা মায়ের মন্দির।

Advertisment
publive-image
স্বপন সাধু

যিনি এই মন্দিরের প্রাণপুরুষ, তিনি হলেন স্বপন সাধু। প্রায় ৪৮ বছর ধরে এই জায়গায় সাধনা করছেন ৬৫ বছরের এই সাধু। ভক্তদের দাবি, তিনি মধ্যে তারাপীঠে গিয়েও সাধনা করেছেন। এখানে শ্মশান রয়েছেন। তার সামান্য দূরে স্বপন সাধুর চেষ্টায় গড়ে উঠেছে বিশাল আকারের কাচ দিয়ে তৈরি মন্দির। জুতো খুলে মন্দির চত্বরের জমিতে প্রবেশ করতে হয়। মন্দির চত্বরে ভোগে জন্য নম্বা ঘরের সারি রয়েছে। উৎসবের দিন ভক্তদের জন্য এখানেই হাঁড়ির পর হাঁড়ি ভোগ রান্না হয়।

গাছগাছালিতে পরিপূর্ণ মন্দির চত্বর। আর, তারই মাঝে সুদৃশ্য এই মন্দির। যা ভক্তদের দানের অর্থে তৈরি হয়েছে। স্বপন সাধুর দাবি, তিনি দেবী তারার দর্শন পেয়েছেন। দেবীর কৃপাতেই তৈরি হয়েছে এতবড় মন্দির। মন্দির চত্বরেই এক পাকুড় গাছ রয়েছে। সেখানে একসময় বসে সাধনা করতেন স্বপন সাধু। সেই সাধনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, পাকুড় গাছটি একটি ঘটকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। সেটাও এই মন্দির চত্বরে এলে দেখা যায়।

আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় জাগ্রত পাঁচু ঠাকুর, সাড়ে তিনশো বছর ধরে রক্ষা করছেন ভক্তদের

কথিত আছে, অনেকে বিশ্বাসের অভাবে ওই ঘটটিকে পাকুড় গাছ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তাতে নাকি ওই সব ব্যক্তিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমনকী, ওই সব ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ মারাও গিয়েছেন। ভক্তদের দাবি, বিপদে-আপদে তাঁরা এই মন্দিরে দৌড়ে আসেন। স্বপন সাধুর কাছে আসেন। তাঁদের কথা শুনে স্বপন সাধু প্রতিকার করেন। আর, তাতে তাঁদের বিপদ কেটে যায়।

Temple Tarapith pujo
Advertisment