বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এবং প্রতি মাসে একটি করে ষষ্ঠী, সেটি ছয় ষষ্ঠী বলুন অথবা নীল ষষ্ঠী কিংবা জামাই ষষ্ঠী। তবে প্রতিটি অনুষ্ঠানের কিন্তু সঠিক নিয়ম রয়েছে। দেশ, স্থান কাল বিভেদে সেই নিয়ম ভিন্ন হয়। ওপার বাংলা এবং এপার বাংলার মধ্যে নিয়মের অনেক পার্থক্য রয়েছে। সেগুলো সঠিক ভাবে পালন করা খুব দরকার। জামাই ষষ্ঠী মানে কী শুধুই রেঁধে বেড়ে খাওয়ানো? একেবারেই না! তার সঙ্গে রীতি নীতি জানাও খুব দরকার।
Advertisment
ত্রিনয়নী ফাউন্ডেশন - এর এবারের প্রকল্প, জামাই ষষ্ঠী পালন। অনলাইনে ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তারা শেখাবেন কীভাবে এই ব্রত পালন করতে হয়। জামাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে কন্যার মঙ্গলার্থে এমনকি সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই পুজো অনেক মা করে থাকেন। চলতি ভাষায় একে অরণ্য ষষ্ঠী বলা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানের সদস্য, উপাসনা বাগচী বলেন - "এই জামাই ষষ্ঠী বা অরণ্য ষষ্ঠী তো শুধু মেয়ে জামাই নয় বরং নিজের সন্তানের জন্যও করা হয়। মা ষষ্ঠীর কৃপা লাভের কারণে দুই বঙ্গেই এই পুজো করা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই কি বিধি রয়েছে, কী পুজো করা উচিত এগুলো জানে না, আমরা এবার সেটাই শেখাবো"।
এই ষষ্ঠী দুই বাংলাতেই যথেষ্ট জনপ্রিয়, এত নিয়ম কানুন, সবকিছুই শেখানো হবে? উত্তরে উপাসনা বললেন, "ইচ্ছে সেরকমই রয়েছে। সবথেকে বড় কথা, বাংলার ঘরে ঘরে অনেক নিয়ম রয়েছে। এই যেমন প্রথম সন্তান না হলে মেয়ের বাড়িতে মায়েরা খাবার খান না। আসলে অনেকেই জানেন না, লোক প্রথা হিসেবে এটি শুরু করা হয়েছিল যাতে মেয়েরা বাপের বাড়ি আসতে পারে। এক ধরনের আনন্দ অনুষ্ঠান। এর পুরাণের দিকও রয়েছে। এই যেমন আমরা জানি, কার্তিক চিরকুমার। কিন্তু দক্ষিণ ভারত জুড়ে এই কথার চল রয়েছে যে কার্তিকের স্ত্রী রয়েছে। তিনি দেবরাজ ইন্দ্রের কন্যা, মতান্তরে ঋষিরাজ ব্রহ্মার কন্যা - তিনিই আসলে ষষ্ঠী। তার বাহন হলেন বেড়াল। অনুষ্ঠান এবং বিধির পেছনে কারণ, সেই সম্পর্কে আরও তথ্য জানানো হবে। তারপর, কী জিনিস জামাইকে দিতে নেই, কোন রং এই অনুষ্ঠানে চলে না এসবও জানানো হবে"।
কীভাবে যোগ দেওয়া যাবে এই অনুষ্ঠানে? উপাসনা জানান, দুটি ব্যাচে ক্লাস হবে। একটি ক্লাস ২৮ শে মে এবং আরেকটি ক্লাস, ৩রা জুন - দুটিই সন্ধ্যে ৭টা থেকে। আমাদের নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে অবশ্যই আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করব।