Job Portal meant for transgender: আইন যতই স্বীকৃতি দিক তাদের, সরকারি ফর্মে 'মহিলা' 'পুরুষ'-এর পাশাপাশি এদের জন্য আলাদা ঘর থাকুক, সমাজে তারা এখনও প্রান্তিক। সামাজিক স্বীকৃতির জন্য লড়াইটা এখনও জারি। লড়াইয়ের খানিকটা চোখে পড়েছিল কানপুরের ময়ঙ্ক ভরদ্বাজের। রেল স্টেশনে ভিক্ষে করতে দেখত রূপান্তরকামীদের। নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তর পেয়েছিল কিশোর বয়সেই, "আমরা তো ভিক্ষে করা ছাড়া ওদের সামনে কোনও রাস্তাই খোলা রাখিনি"। এই রাস্তা তৈরি করার জন্যই উঠে পড়ে লেগেছে ২৯ বছরের ময়ঙ্ক। রূপান্তরকামীদের চাকরি সংক্রান্ত একটি পোর্টাল খুলে ফেলেছেন পেশায় সফটওয়্যারকর্মী ময়ঙ্ক।
http://www.kinnerjobs.com এই নামে খোলা হয়েছে চাকরির পোর্টাল। রূপান্তরকামী চাকরিপ্রার্থী এবং নিয়োগকারীদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়াই এই পোর্টালের কাজ। আর পাঁচটা চাকরির পোর্টালের ধাঁচেই সাজানো হয়েছে পোর্টালটি। চাকরিপ্রার্থীদের প্রত্যেকের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। নিয়োগকারী সংস্থাও তাদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করতে পারে এই পোর্টালে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই লাইভ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
"মহিলা, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, চাকরিক্ষেত্রে এঁদের সমানাধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত, তবু ক'টা সংস্থা ওদের চাকরি দেয়?"প্রশ্ন তুলেছেন ময়ঙ্ক। অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়োগ করতে অসুবিধে না থাকলেও নিয়োগকারী সংস্থা হয়তো সরাসরি পৌঁছতেই পারেন না এদের কাছে। এ পোর্টাল সেই সমস্যা অনেকটাই কমাবে বলে ময়ঙ্ক আশাবাদী।
আরও পড়ুন, পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর থেকে সফল আইনজীবী, বিজয়ী রূপান্তরকামী মেঘ সায়ন্তন ঘোষ
তবে সময়টা একুশ শতক হলে কী হবে? আইনত বাধা না থাকলেও এখনও বেশ কিছু নিয়োগকর্তা মন থেকেই রূপান্তরকামী কর্মী মেনে নিতে পারেন না তাঁর সংস্থায়। পোর্টাল খোলার আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়েছিলেন তিনি। বিরূপ অভিজ্ঞতার তালিকাটা বেশি ভারি হলেও অনেকেই খুব ইতিবাচক ভাবে নিয়েছে এই উদ্যোগকে। সাড়া মিলেছে তৎক্ষণাৎ।
"আমাদের পোর্টালে যে সব চাকরির খবরাখবর আসে, বেশির ভাগই পরিষেবা ক্ষেত্রের। এখানে ন্যূনতম যোগ্যতায় উচ্চশিক্ষা আবশ্যিক নয়। বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে দক্ষতারও প্রয়োজন নেই। যেটুকু কাজ শিখে নেওয়া দরকার, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সেটুকু প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করার জন্য তৈরি অনেক সংস্থাই।