কথায় বলে, বয়স বাড়লে নাকি, হাড়ের জোর কমে যায়। সহজেই ব্যথা লাগে সহজেই দুর্বল হতে থাকে বলেই অল্প একটু আঘাতে বেশি কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় নিজেদের স্বার্থেই হাতের আঙুল কিংবা পায়ের আঙুল আমরা চাপ দিয়ে ফাটানোর চেষ্টা করি এতে নাকি হাত পায়ের জড়তা কমে যায়। তবে বেশ কিছু সময় দেখা যায়, নিজেরা উঠতে বসতে হাড়ের অথবা পেশীর মধ্যাঞ্চল থেকে একরকম আওয়াজ আসে।
চিকিৎসা পদ্ধতির অনুসারে অল্পবয়সীদের মধ্যে অনেকেই হাড়ের বদ্ধতা, এবং জড়তা তথা ঝিনঝিন ভাব দুর করতে কিছু কিছু সময় পরেই, নিজেরাই এটি করে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকলে ক্রাম্প ধরার প্রবণতা থাকে, সেই থেকেও এটি আরাম দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন এই আওয়াজের অর্থ আপনার পরবর্তীতে হাঁটা চলার সময় পা মুচকে যাওয়ার কিংবা কোনওরকম অসুবিধের সম্মুখীন হবেন না। কিন্তু এই শব্দ আসলেই কি?
চিকিৎসকদের মতে, হাড়ের ক্লিক কিংবা পপিং খুবই সাধারণ ব্যাপার সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের মানুষদের ক্ষেত্রে এর লক্ষণ বেশি। এটি ডাক্তারি পরিভাষায় ক্রেপিটাস নামেই পরিচিত। যখনই আপনি হাঁটাচলা করেন হাড়ের ভিতর থেকে জয়েন্ট থেকেই সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামক পদার্থ নাইট্রোজেনের সঙ্গে মিশেই বুদবুদ জাতীয় সৃষ্টি করে। যার ফলেই পাতলা আস্তরণের সঙ্গে ঘর্ষণের দরুন এই আওয়াজের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন < ঘাম থেকে তিতিবিরক্ত? সমাধান এখন হাতের মুঠোয় >
আদৌ কি এটি ক্ষতিকারক? একেবারেই না! এটি কোনওভাবেই আঘাত করে না এমনকি ক্ষতিকরও নয়। অনেক সময় লিগামেন্ট এবং পার্শ্ববর্তী হাড়ের সংঘর্ষের ফলেও এই ধরনের আওয়াজ সৃষ্টি হয়। তবে অনেক বিশেষজ্ঞের মতে যদি পপিং বা ক্লিক হওয়ার পর ফুলে না গেলে কিংবা ব্যথা না হলে এর থেকে ভয়ের কোনও কারণ নেই। দীর্ঘসময় ধরে দাড়িয়ে থাকলে কিংবা বসে থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। কারণেই একটু ব্যায়াম করুন। পেশীগুলোর জড়তা যেমন কমবে সহজে হাত পা প্রসারিত করাও এক্ষেত্রে ভাল।
তবে যাদের লিগামেন্ট জাতীয় চোট কিংবা হাড়ের ব্যথায় ভোগেন তাদের কিন্তু এই বিষয়ে বেশ লক্ষ্য রাখতে হবে। এই ধরনের পেশীতে সমস্যা থাকলে কিন্তু সাবধানে চলাফেরা করা কাম্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন