শীতের শুরু হোক কিংবা শেষ পেশীর ব্যথা কিন্তু মানুষকে ভীষণ কষ্ট দিতে পারে। এবং এর কারণে আসলেই অনেকের নাজেহাল অবস্থা। বসলে ওঠার রাস্তা নেই, আর দাঁড়ালে পরে বসতে খুব কষ্ট হতে পারে। কিন্তু ওষুধের পর ওষুধ খেয়েও এর থেকে রেহাই মেলে না একেবারেই। এই ক্ষেত্রে কাজে আসতে পরে আয়ুর্বেদ। অবশ্যই সব রোগের উত্তর এর কাছে রয়েছে।
Advertisment
চিকিৎসক এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ভারালক্ষি ইয়ানামন্দ্র বলছেন এই সময় পেশী কিংবা জয়েন্ট এর যত্ন বেশি করে নেওয়া দরকার। নাহলে এটি আরও অসাড় হয়ে পড়বে। দেখা যায় যতটা সম্ভব ততটা এর খেয়াল রাখা হয় না, উঠতে বসতে হালকা ব্যথা লেগেই যায়। বিশেষ করে শীতের শেষে এতে শরীরের কারণেই জলীয় ভাব কমতে থাকে তাই বেশ সমস্যা দেখা যায়। বাতাসের আর্দ্রতা এবং শুষ্কতার কারণে এটি হতে পারে।
তাহলে কীভাবে এটিকে অসাড় হওয়ার থেকে বাঁচবেন?
তিনি বলছেন প্রথম ওষুধ হল পেশী সঞ্চালন করা অথবা হাঁটাচলা করা। বিশেষভাবে সময় করে স্ট্রেচিং করা খুব দরকারী। এতে কিছুই নয়, পেশী বেশ গরম থাকে ফলে আরষ্ঠ ভাব কমে যায়। একদম হাঁটাচলা বন্ধ করে দিলে ব্যথা বাড়বে এবং পরবর্তীতে হাঁটতে গেলে কষ্ট পাবেন, তাই যাতায়াতের মধ্যে থাকুন।
তিনি আরও বেশ কিছু তেল মালিশের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলি এইসময় ভাল প্রমাণিত হতেই পারে। যেমন হালকা গরম তিলের তেল অথবা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে জরতা এবং ব্যথা অনেক কমবে। বিশেষ করে স্নানের আগে এবং পরে দুই সময়েই এটি প্রয়োগ করুন, তাহলে কাজে দেবে।
'Sauna' ট্রাই করতে পারেন। অনেক সময় ঘাম যদি সঠিক মাত্রায় শরীর ছেড়ে বেরতে পারে তবে পেশী সংক্রান্ত ব্যথা একেবারেই কমে যায়। তাই তেল মালিশ করে গরম জলের ভাপ নিলে অথবা স্টিম রুমে বসে থাকলে আপনার শরীরের সমস্যাই কমবে।
যদি ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে তবে অবশ্যই সঠিক পোশাক পরে তারপরেই বেরোন। দেহ গরম না থাকলে বেশ মুশকিলে পড়বেন।
সাধারণ চাল, নুন এবং রান্নাঘরের মশলা দিয়ে বানানো একটি পটলি তে রেখে গরম করুন। সেটি দিয়ে সেঁক দিকে বেশ আরাম পাবেন। আগে তেল অল্প মালিশ করে নেবেন অবশ্যই! নইলে রেহাই পাবেন না। একে যত গরম এবং আরামে রাখবেন ততই ভাল।