বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জিভের স্বাদের জন্য কার্যত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের পাত থেকে এবার উধাও হয়ে যেতে চলেছে এগরোল-বার্গারের মতো লোভনীয় স্বাদ কিংবা ফুচকার মতো মুচমুচে আহার। হ্যাঁ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে জাঙ্ক ফুডকে কার্যত ঘাড় ধরে টেনে বের করে দিতে চায় ইউজিসি। ইতিমধ্যেই এমন নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে এ শহরের তিন বিশ্ববিদ্যালয়েও। কলকাতা, যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি, এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়েই ইউজিসির নয়া নির্দেশিকা নিয়ে তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোনও জাঙ্ক ফুড বিক্রি করা হচ্ছে না। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলোতেও ইউজিসি-র নির্দেশিকা সম্পর্কে সজাগ করা হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলির ক্যান্টিনে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রান্না করা হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে দিব্বি বিকোচ্ছে চিপসের প্যাকেট ও ভাজাভুজি। এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন,‘‘জাঙ্ক ফুড নিয়ে ইউজিসি-র নির্দেশিকা সম্পর্কে পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে।’’ তিনি আরও বলেন যে, হঠাৎ পড়ুয়াদের খাবারের অভ্যেস বদালানো কঠিন।
আরও পড়ুন, ২৮ অগাস্ট, ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটির সব পরীক্ষা বাতিল
এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেন,‘‘ইউজিসি-র এই নির্দেশিকা নিয়ে আমরা নোটিস টাঙাব।’’ তিনিও বলেন যে, কারও খাবারের অভ্যেসে বদল ঘটনা শক্ত কাজ। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও যে ইউজিসি-র নির্দেশিকা মানা হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করেছেন উপাচার্য।
প্রসঙ্গত চলতি মাসের ২২ তারিখে জাঙ্ক ফুড নিয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে জানায় ইউজিসি। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশ মোতাবেকই এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইউজিসি।