Kanyakumari Travel Guide: কন্যাকুমারী ভ্রমণ গাইড, দুই দিনে ঘুরে দেখুন তিন সাগরের মিলনস্থল

Kanyakumari Travel Guide: দু'দিনে ঘুরে দেখুন ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের অনন্য দর্শনীয় স্থান। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল, ত্রিবেণী সঙ্গম, আশপাশের দর্শনীয় জায়গার বিস্তারিত প্ল্যান।

Written byChinmoy Bhattacharjee

Kanyakumari Travel Guide: দু'দিনে ঘুরে দেখুন ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের অনন্য দর্শনীয় স্থান। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল, ত্রিবেণী সঙ্গম, আশপাশের দর্শনীয় জায়গার বিস্তারিত প্ল্যান।

Chinmoy Bhattacharjee

25 Sep 2025 05:00 IST

New Update

Kanyakumari Tour 1 — Kanyakumari Travel Guide: দু'দিনে কন্যাকুমারী ভ্রমণ।

1/10

দু'দিনে কন্যাকুমারী ভ্রমণ

Kanyakumari Travel Guide: ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত, যেখানে আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মিলন ঘটেছে, সেই জায়গাটিই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী। এই জায়গা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, স্বামী বিবেকানন্দের তপস্যাস্থল হিসেবেও অসাধারণ জনপ্রিয়। অসংখ্য বাঙালি পর্যটক বছরের পর বছর কন্যাকুমারী দেখতে আসেন। আজকের এই গাইডে জানুন– দুই দিনে কীভাবে ঘুরে দেখবেন কন্যাকুমারী।

2/10

প্রথম দিন – সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত

যদি ভোরবেলা কন্যাকুমারী পৌঁছাতে পারেন, তাহলে আপনার ট্যুর আরও জমে উঠবে। ভোরে হোটেলে ব্যাগ রেখে সোজা চলে যান সমুদ্রতটে সূর্যোদয় দেখতে। বিবেকানন্দ রকের পেছন থেকে উদিত সূর্যের দৃশ্য আজীবন মনে থাকবে।

3/10

বিবেকানন্দ মেমোরিয়াল

এরপর সকালের ব্রেকফাস্ট সেরে চলে যান Vivekananda Rock Memorial-এ। জেটি থেকে ৭৫ টাকার টিকিট কেটে লঞ্চে পৌঁছতে হবে এই দ্বীপে। প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা। এখানেই ১৮৯২ সালে স্বামী বিবেকানন্দ তিন দিন ধ্যান করেছিলেন। পাশাপাশি রয়েছে তামিল কবি থিরুভল্লুভারের ১৩৩ ফুট উচ্চ মূর্তি। বর্তমানে কাঁচের সেতুর মাধ্যমে দুই জায়গায় যাওয়া যায়।

Advertisment

4/10

স্থানীয় দর্শনীয় স্থান

ফিরে এসে লোকাল দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। যেমন- ভগবতী আম্মান মন্দির (৫১ শক্তিপীঠের একটি, নির্দিষ্ট ড্রেসকোড আছে), ত্রিবেণী সঙ্গম – একসঙ্গে তিন সাগরের মিলন (ভারতের একমাত্র এমন জায়গা), সুনামি মেমোরিয়াল পার্ক – ২০০৪ সালের সুনামির স্মৃতি, গান্ধী মন্ডপম – গান্ধীজির অস্থি বিসর্জনের স্থান।

5/10

রামায়ণ মন্দির ও ভারত মাতা মন্দির

ঘুরে আসতে পারেন রামায়ণ মন্দির ও ভারত মাতা মন্দির। এখানে ছবি ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। দুপুরে লাঞ্চ করতে পারেন বাঙালি হোটেল “সোনার বাংলা” বা “রূপসী বাংলা”-য়।

6/10

কন্যাকুমারী বিচ

বিকেলে চলে যান কন্যাকুমারী বিচ-এ। এখানেই পাবেন চার্চ, ফিশারম্যান কলোনি এবং কন্যাকুমারী পিয়ার। এখান থেকেই সূর্যাস্তের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। সন্ধ্যায় মার্কেট ঘুরে শপিং করতে পারেন।

Advertisment

7/10

দ্বিতীয় দিন– আশপাশের স্পট ভ্রমণ

দ্বিতীয় দিনটি কন্যাকুমারী শহরের বাইরে কাটাতে পারেন। নিজেরা গাড়ি বুক করতে পারেন বা স্থানীয় ট্যুর অপারেটরের প্যাকেজ নিতে পারেন।

8/10

নিজের গাড়িতে ঘোরার প্ল্যান

নিজের গাড়িতে ঘুরতে পারেন- ভাট্টাকোট্টাই ফোর্ট (সমুদ্রের ধারে, শহর থেকে ৮ কিমি), থিরুপারাপ্পু জলপ্রপাত (বর্ষাকালে অসাধারণ), চিত্রাল জৈন মন্দির (৯ম শতাব্দীর), পদ্মনাভপুরম প্যালেস (কেরল রোডে অবস্থিত),

9/10

লোকাল প্যাকেজ ট্যুর (জনপ্রতি ২০০ টাকা)

ভারতমালা মন্দির, বালাজি মন্দির, সুচিন্দ্রম মন্দির, রাম মন্দির, ওয়াক্স মিউজিয়াম, সাইবার মন্দির, সানসেট পয়েন্ট ইত্যাদি। দিন শেষে কন্যাকুমারী শহরে ফিরে সূর্যাস্ত উপভোগ করুন।

10/10

কন্যাকুমারী ভ্রমণের কিছু টিপস

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত মিস করবেন না। ভগবতী আম্মান মন্দিরে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি মেনে ঢুকতে হবে। অটো রিজার্ভ করলে দরদাম করে নেবেন। স্থানীয় মার্কেটে দাম একটু বেশি, তবে সমুদ্রশঙ্খ ও হ্যান্ডিক্রাফটস ভালো পাবেন।

Kanyakumari travel