Advertisment

করোনার দোসর এবার কাওয়াসাকি, হু হু করে বাড়ছে নতুন রোগে মৃত্যুর সংখ্যা

বিনা চিকিৎসায় প্রায় ১০ দিন অতিক্রান্ত হলে তা হৃদপিণ্ডেরও ক্ষতি করে থাকে। হৃদপিণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করোনারি শিরায় ছোবল দেয় এই রোগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারতে শিশুদের শরীরেও হানা দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। তবে অনেক শিশুদের মধ্যেই আবার যে উপসর্গ প্রকট হয়েছে, তা কাওয়াসাকি রোগের লক্ষণের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। সম্প্রতি, মুম্বই ও দিল্লির একাধিক হাসপাতাল এই কাওয়াসাকি রোগের উপসর্গের কথা জানিয়েছে।

Advertisment

দিল্লির ফর্টিস শালিমার বাগের পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের প্রধান অরবিন্দ কুমার জানালেন, এই রোগ আসলে কী!

তিনি বলেছিলেন, কাওয়াসাকি রোগ মোটেও নতুন নয়। এর আগেও কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করেছি আমরা। তবে যেখানে ছয় মাসের মধ্যে মাত্র ২-৩জন এই রোগে আক্রান্ত হতে, বর্তমানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বহু বেড়ে গিয়েছে। এর কারণ সম্ভবত, জনজীবনে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটছে।

কী এই কাওয়াসাকি রোগ?
এই রোগের উৎপত্তি এখনো অজ্ঞাত। মনে করা হয়, বেশ কিছু ভাইরাস এই রোগের সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই রোগ প্রথমে পর্যবেক্ষণ করেন চিকিৎসক টমিসকু কাওয়াসাকি। শুধু শিশুদেরই নয়, এই রোগ ১০-১৫ বছরের কিশোরদেরও হতে পারে। তবে মূলত, ৫ বছর কম বয়সিরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক রোগে আক্রান্তের সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়।

কাওয়াসাকি রোগের উপসর্গ:
কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্ত শিশুদের প্রচন্ড জ্বর, ভেজা ভেজা চোখ, ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া, জিভের উপরিভাগ লাল এবং অমসৃণ হয়ে থাকে।অনেকের আবার হাঁটু, গোড়ালি সহ শরীরের সমস্ত জয়েন্টে যন্ত্রণা হতে থাকে। পায়ে ব্যথা হয়।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, বিনা চিকিৎসায় প্রায় ১০ দিন অতিক্রান্ত হলে তা হৃদপিণ্ডেরও ক্ষতি করে থাকে। হৃদপিণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করোনারি শিরায় ছোবল দেয় এই রোগ। এই রোগ শিশুদের ৩ অথবা ৪ নম্বর দিনেই ধরা পড়ে যায় বর্তমানে। চিকিৎসকরা বলছেন, যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, ততই ভাল। সময় গড়িয়ে গেলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে।

চিকিৎসা:
শিরা পথে উচ্চমাত্রায় ইমিনোগ্লোবিউলিন এর একটি ডোজ এবং অ্যাসপিরিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। এই চিকিৎসা তীব্র সংক্রমন বা প্রদাহ খুব দ্রুত কমিয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন চিকিৎসার একটি অপরিহার্য অংশ যা হৃৎপিন্ডে রক্তনালীর জটিলতা কমাতে সমর্থ। যদিও এটা খুব ব্যায়বহুল কিন্তু একই এটাই কার্যকরী চিকিৎসা।

কোভিডের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত কাওয়াসাকি:
চিকিৎসক কুমার বলছেন, বেশ কিছু শিশু যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তাদের এই রোগের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। এই শিশুদের উচ্চ জ্বর হচ্ছিল, এবং তা কমছিলই না। পাশাপাশি চোখ লাল হয়ে যাওয়া, বমি, হাতে, পায়ে যন্ত্রনা। কোভিড সংক্রমণ এদের অসুস্থতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

চিকিৎসক আরও জানালেন, একবার কাওয়াসাকি রোগ নির্ণয় ধরা পড়লে দেখতে হবে সেই শিশু করোনায় আক্রান্ত কিনা। দুভাবে দেখতে হবে- সোয়াব টেস্টে অনেক ক্ষেত্রেই বারবার পরীক্ষার পরে রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। আরেক বিষয় হল, এন্টিবডি টেস্ট করতে হবে।

health
Advertisment