দুধ খেতে অনেকেই পছন্দ করেন, আবার অনেকেই করেন না। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ দুধের সঙ্গে কোনও এসেন্স অথবা চকোলেট এগুলি একটু বেশিই পছন্দ করেন। দুধ স্বাস্থ্যকর বটে, তবে সকলের ক্ষেত্রে নয়। অনেকেই এটিকে সহ্য করতে পারে না। তাদের পেটে সয় না, তবে পুষ্টিবিদ লবনীত বাত্রা বলছেন কেশর বাদাম দুধ আপনার জন্য দারুণ লাভদায়ক হতে পারে। কীভাবে?
Advertisment
তিনি বলছেন আয়ুর্বেদের পাতায় এই দুধ সবথেকে পুরনো একটি পানীয়, যেটি শক্তি প্রদান করে, মানুষের শারীরিক স্থিতি বজায় রাখে। এতে যে ধরনের উপাদান থাকে যেমন, কেশর কিংবা বাদাম অথবা আলমন্ড সেগুলি খাবার হিসেবে যথেষ্ট গুণ সম্পন্ন। সঙ্গেই এর বিশেষ কিছু প্রভাব রয়েছে, অর্থাৎ এটি শরীরকে কীভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক!
তিনি বলছেন, প্রথমত যদি আপনি ইনসোমনিয়া রোগী হন অর্থাৎ সহজে ঘুম না আসার মত সমস্যা থাকে তাহলে এটি আপনার পক্ষে লাভদায়ক। কেশরে থাকে পটেন্ট অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যেমন, ক্রসিন, সফরানাল ইত্যাদি এগুলি মাথা শান্ত করতে কাজে দেয়। সঙ্গেই দুধ ডিপ্রেশন দুর করতে সক্ষম। বলা উচিত এটি শরীরকে সতেজতা প্রদান করে। কেশরে ম্যাঙ্গানিজ খুব বেশি পরিমাণে থাকে তাই এটি ঘুমাতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয়, বাধক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কেশর অ্যান্টি অ্যালোজেসিক এবং অ্যান্টি স্পাসমডিক সমৃদ্ধ। এটি দারুনভাবে রক্ত ফ্লোকে ত্বরান্বিত করে ফলে স্টিমুলেশন করলেই, ব্যথা কমে যায়। তার সঙ্গেই এটি একত্রে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম শরীরকে সুথ করতে, গরম রাখতে সাহায্য করে। ফলেই ব্যথা কমে যায়।
তৃতীয়, ত্বকের পরিচর্যায় এটি বেশ ভাল! এমনিতেও কেশর এবং বাদাম শরীরের পক্ষে কিংবা ত্বক মসৃণ করতে সাহায্য করে। এদের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফর্মুলা বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। ত্বক বেরঙ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে, শুষ্কতা দূর করে - পিগমেন্টেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং এটি বেশ কার্যকরী মানবদেহের পক্ষে।