যদিও বা শীত পেরিয়ে গরম পড়েছে, এখন শরীরের অতিরিক্ত জল কিংবা টক্সিন ঘামের মাধ্যমে এমনিই বেড়িয়ে যেতে পারে। তবে ডায়েট প্ল্যান কিন্তু সবসময় থাকা উচিত। এবং সবথেকে ভাল তাঁর মধ্যে এই কিটো ডায়েট। সব কিছুই স্বল্প পরিমাণে থাকবে, কিন্তু দৈহিক মেদ সহজেই ঝরবে, পুষ্টিও কমবে না। চিকিৎসক মুকুল নাগপাল বলছেন, যদি এটি আগে থকেই কেউ ফলো করে থাকেন তবে খুব সহজেই তাঁর পরিনাম পাবেন। ডায়েট প্ল্যান এমন হতে হবে যেন ৬মাসে ২০ কেজি ওজন কমানো যায়।
কিটো কীভাবে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে?
উত্তরে তিনি বলছেন, সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ভর করে মানুষের জীবনযাত্রা, শরীরচর্চা, খাওয়াদাওয়া এসবের ওপর। এবং সকলের ওজন থেকে শুরু করে উচ্চতা কোনওটাই সমান নয়, তাই মানুষ অনুযায়ী সেটি পরিবর্তিত হয়।
কীভাবে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়?
সপ্তাহে এবং মাসের ব্যাবধানে এর প্রভাব দেখা যায়।
যেমন প্রথম সপ্তাহে ২ থেকে ৩ কেজি ওজন কমে যাওয়া কেটো ডায়েটে খুব স্বাভাবিক বিষয়। কারণ এটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমিয়ে দিতে পারে। এই ডায়েটে কম কার্ব এবং উচ্চ চর্বির খাবার দেওয়া হয়। এই ডায়েটের একটাই লক্ষ্য কার্বোহাইড্রেট কম রেখে চর্বির মাত্রা বৃদ্ধি করা, তবেই গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকবে। অনেকসময় এই ডায়েট শুরু করলেই একটু দুর্বলতা কিংবা মাথা ঝিম ঝিম করা শুরু করে, এটিকে কেটো ফ্লু বলে।
আরও পড়ুন < চিনির বদলে এই খাবারগুলি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করুন, নইলে খুব মুশকিল >
প্রথম মাসে কিন্তু আরও বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। শরীরে জল জাতীয় ফ্যাট থাকলে সেটি এই সময় কমতে থাকে এবং চর্বির মাত্রা আসতে ধীরে বাড়তে থাকে। এই সময় মেদ ঝরে যাবে তবে দৈহিক পরিবর্তন খুব একটা আসে না। যেহেতু মাসেল বাড়তে থাকে তাই দেখা যায়, ওজনের হ্রাস বৃদ্ধি হলেও চেহারার পরিবর্তন সহজে হয় না। এই সময় ওয়েট লিফটিং করা খুবই ভাল। চেষ্টা করবেন, যখন কেটো ডায়েট ফলো করছেন, তখন দৈহিক সংকুলান যেন ঠিক থাকে, সহজেই সেই পরিবর্তনকে নিজস্ব করে নিতে পারে।
এবং মাস তিনেক পর, দেখা যায় ১০ কেজি ওজন কমে যায়। এই সময় খিদের মাত্রা সাধারণ থাকে, তবে ক্যালোরি ইনটেকে ধ্যান দেওয়া দরকার। তাঁর কারণ, ফ্লুইড এবং জলের ব্যালেন্স বজায় রাখা খুব দরকার। তবে যদি কারওর শরীরে যদি অসুবিধা থাকে, সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।