সদ্যই শুরু হয়েছে শিশুদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া। ১৫ থেকে ১৮ বছরের বাচ্চাদের সর্বপ্রথম টিকা করণের আওতায় আনা হয়েছে। এবং স্বাভাবিক ভাবেই বাচ্চাদের ভ্যাকসিন গ্রহণের পর জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে বাবা মায়েরাও চিন্তাতেই ছিলেন। তবে জ্বর কিংবা ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল অথবা পেইনকিলার প্রয়োজনীয় নয় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারত বায়োটেক সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকেই বাচ্চাদের জন্য ৫০০ গ্রামের প্যারাসিটামল ধার্য করা হয়েছে তবে এই বিষয়ে কোনও সত্যতা নেই। কো ভ্যাক্সিন দ্বারা এমন কোনও আতঙ্কের প্রয়োজন নেই। একদম কম মাত্রায় সর্বসাকুল্যে এক দিনের জন্য গা হাতপা গরম হতে পারে তবে হালকা ব্যথা হলে বরফ সেঁক দিতে পারেন। তাদের তরফ থেকে সাফ জানানো হয় অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রে- প্রয়োজনে প্যারাসিটামল লাগতেই পারে তবে তাদের ক্ষেত্রে নয়।
আরও কী জানা গেছে?
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সুপারিশ অনুযায়ী, এখন কেবলমাত্র কোভ্যাক্সিন শিশুদের জন্য ধার্য করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যতই হালকা জ্বর থাকুক অথবা গা ম্যাজম্যাজ করুক, পেইনকিলার একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ এটি শরীরে গিয়ে ভ্যাকসিনের ইমিউনিটি কমিয়ে দিতে পারে।
চিকিৎসক বিজয় দত্ত জানিয়েছেন, বাচ্চাদের শরীরে এমনিই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। প্যারাসিটামল অথবা পেইনকিলার দিয়ে তাকে বেশি ব্যতিব্যস্ত করবেন না- এতে কিন্তু লিভার ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে। পেইনকিলার কারওর শরীরের পক্ষেই ভাল নয়। যদি কোনও শিশু জ্বর অনুভব করে তবে মেফতাল সিরাপ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করুন। আর নয়তো অর্ধেক করে প্যারাসিটামল ১৮ বছরের ক্ষেত্রে চলতে পারে।
চিকিৎসক সোনম সোলাঙ্কি বলছেন, অনেক বাবা মায়েরা শুধু ভ্যাকসিন নিচ্ছে ভেবেই প্যারাসিটামল খাওয়াচ্ছেন এটি কিন্তু একেবারেই ভুল। আবার অনেকেই বাচ্চাদের কম্বলে ব্ল্যানকেট দিয়ে অস্বাভাবিক মাত্রায় জড়িয়ে রাখছেন। অসুবিধা না হলে এত বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলছেন?
তাদের মতে টিকা গ্রহণের আগেও প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত নয়। এবং পেইনকিলার নৈব নৈব চে! কারণ টিকা সহজেই অ্যান্টিবডি তৈরি করতে ব্যাহত থাকতে পারে বলেই জানানো হয়েছে। তবে বাচ্চাদের টিকা গ্রহণের পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ধ্যান দিতে বলা হয়েছে।
- টিকা গ্রহণ করার পর বাইরে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- ভাল করে ৮ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন।
- মাস্ক পরে থাকা উচিত। এই সময় শরীর ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে খুব মুশকিল।
- প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার।
- শরীর চালনা করতে হবে তবে অবশ্যই বাড়িতে থেকেই। এখন বাইরে না বেরনই ভাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন