মাথাব্যথা এখন বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই খুব সাধারণ অসুখ। যদিও বা অনেকের ক্ষেত্রে এটি কম ক্ষতিকর তবে কেউ কেউ কিন্তু বহু বছর ধরে সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসক সিএস নারায়ণ ( নিউরোলজি বিভাগীয় প্রধান, মনিপাল হসপিটাল ) বলছেন বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ৫০ বছরের পরে মাথা যন্ত্রণার এক নতুন সূত্রপাত দেখা দেয়। এবং যাদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে দুর্বলতা এবং কখনও কখনও গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায়।
মাথাব্যথার প্রসঙ্গ এলেই সকলেই তাকে গুলিয়ে ফেলেন মাইগ্রেইনের সঙ্গে। ক্রনিক একটি ব্যথা এইসময় অনুভূত হয় এবং তার থেকেও বড় কথা শরীরে অন্যান্য অংশ দুর্বল হতে পারে এর থেকে। কিন্তু ক্লাস্টার পেইন এত সহজেই ধরা পরে না। চিকিৎসক নারায়ণ বলেন, মাইগ্রেইনের ব্যথার সঙ্গে এর বেশ কয়েকটি পার্থক্য রয়েছে। তার মধ্যে একটি ক্লাস্টার পেইন যেকোনও একদিকে প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি করে, আর মাইগ্রেন এদিক থেকে ওদিক ঘুরতে থাকে।
ক্লাস্টার পেইন এর ধাঁচ যেভাবে বুঝবেন ;
সাধারণত চোখ দিয়ে ব্যথা শুরু হয় তবে পরবর্তীতে, ঘাড়, মুখ এবং মাথার অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
একদিকে যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
ঘাড়ে ভারী ভাব এবং অস্থিরতা দেখা যায়।
যেদিকে ব্যথা সেইদিকে চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
সেইদিকের নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং সর্দি।
কপালে এবং মুখে অতিরিক্ত ঘামের লক্ষণ।
মুখ এবং ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
চোখের চারপাশ ফোলা থাকে এবং চোখের পাতা পড়তে থাকে।
প্রসঙ্গেই চিকিৎসাশাস্ত্র বলে, সাইনাসের সঙ্গেও জুটি বেধে এই পেইন হতে পারে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় ক্লাস্টার পেইন হলে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে যায় এবং শুয়ে থাকার পরিবর্তে সে নিজে থাকতে বেশি পছন্দ করে। এবং কম করে ১৫ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি স্থায়ী হতে পারে।
কীভাবে এর চিকিৎসা করবেন?
এই রোগের সেরকমভাবে কোনও চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। প্রাণায়াম থেকে যোগা এগুলিই সবথেকে ভাল উপায়। এছাড়াও এই ব্যথা থেকে রেহাই পেতে ২০ মিনিটের মত উচ্চ প্রবাহে অক্সিজেন চালনা করা প্রয়োজন। অথবা ভেরাপমিল নামক একটি ওষুধ প্রতিদিন সেবন করলে আরাম মেলে। অনেক সময় চিকিৎসকরা এর কারণে স্টেরয়েড দিয়ে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে ভাল করে জেনে বুঝে নেওয়া প্রয়োজন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন