করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই মানুষের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা গেছে। দীর্ঘ দিনের এই অসুস্থতা থেকে শরীরে ক্লান্তি ভাব, অ্যালার্জির সমস্যা সঙ্গেই দুর্বলতা - একের পর এক নতুন রোগের সূত্রপাত। রোগের পর ক্লান্তি কিন্তু খুব খারাপ, হাজার বিশ্রাম নিলেও এটি কমার নয়। শরীর একধরনের দুর্বলতা অনুভব করবেই।
ভাইরাসের বিরুদ্ধে যখন শরীরের ইমিউনিটি লড়াই করতে থাকে, তখন থেকেই শরীরের ক্লান্তি ভাব দেখা দিতে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রেই ভাইরাসের প্রভাব কমে গেলে এই দুর্বলতা বেশি গ্রাস করে।
ক্লান্তি এবং দুর্বলতার মধ্যে তফাৎ কী?
ক্লান্তি শব্দটি সকলের কাছেই আলাদা। অর্থাৎ, অনেকেই মনে করেন ক্লান্তি মানে পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই ক্লান্তি অর্থাৎ মানসিক চাপ, কিংবা কোনও একধরনের অস্বস্তি। অনেক সময় বহুদিন নড়াচড়া না করলেও শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়।
দুর্বলতা এবং ক্লান্তির মধ্যে পার্থক্য এই, যে ক্লান্তি ঘুম কিংবা বিশ্রামের সঙ্গে কমতে পারে। কিন্তু দুর্বলতা সহজে কমার নয়।
এটি কি কোনওভাবে দীর্ঘ কোভিডের সঙ্গে যুক্ত?
বেশিরভাগ সময় দেখা যাচ্ছে একেবারেই তাই। প্যান্ডামিকের শুরু থেকেই মানুষ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছেন এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কম করে ৮৫% মানুষ ক্লান্তির সমস্যায় ভুগছেন। এটি কিন্তু দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাই, বেশি করে খাওয়াদাওয়া, পুষ্টিকর কিছু করা উচিত।
ক্লান্তি দুর করতে কী করবেন?
যদিও বা মানুষ নিজস্ব জীবনে ফিরতেই, নানা ধরনের উপায় অবলম্বন করছেন তারপরেও দেখা যায়, অনেক সময় লেগে যাচ্ছে ক্লান্তি দূর করতে। বিশেষ করে যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করা অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তারা, কিন্তু দুর্বলতা তুলনামূলক কম অনুভব করছেন।
নিজের গতিশীলতা বাড়ান :- নিজের শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে তুলুন। স্বাভাবিক ক্রিয়ায় ফিরে আসা খুব জরুরী। অগ্রাধিকার বুঝেই নিজের শরীরকে ফোকাস করুন।
ধীরে ধীরে ব্যায়াম করুন :- একেবারেই নয়। আসতে ধীরে ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা করতে হবে। পরবর্তীতে ক্লান্তি কম করতেই, থেরাপির সাহায্য নেওয়া উচিত। ফিজিওথেরাপি কিংবা ব্যায়াম ফিজিওলজি নিয়ে ক্লান্তি দুর করলেই ভাল।
ঘুমের দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া দরকার। একেবারেই ক্লান্তি থাকলে ঘুম নিয়ে কার্পণ্য করবেন না। এতে শরীরের শক্তি বাড়তে পারে। ঠিক করে ঘুম না হলে খুব মুশকিল। একদম সময় বেঁধে নিয়েই ঘুমানো উচিত।
পুষ্টিকর খাবার, ফলক কিংবা বাদাম জাতীয় খাবার এই সময় খাওয়া খুব ভাল। শরীরের ঘাটতি পূরণ করে, দুর্বলতা কমায়। এবং ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে। সব সময় সবকিছু খাবেন না, পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকের কথা শুনেই কাজ করুন।