বর্তমান আবহাওয়ার সঙ্গে শরীর খারাপের দিকগুলি বেজায় একত্রিত। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গেই এখন ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া ক্রমশই বাড়ছে। তার সঙ্গে মহামারীর প্রকোপ তো আছেই। অনেকেই এখন জ্বর মানেই ভেবে নিচ্ছেন হয়ত বা ভাইরাস অ্যাটাক কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে এমন নাও হতে পারে। এমনিতেই আবহাওয়া পরিবর্তনের দরুন, অত্যধিক গরম থেকেই বৃষ্টি এবং ঠান্ডার আমেজ এটিও কিন্তু কারণ হতে পারে। যদিও বা এই বছর ইনফ্লুঞ্জা ভীষণ ভাবে মানুষের জীবনে ক্ষতি করেছে কিংবা অসুস্থ করেছে।
জ্বরের প্রকারভেদ দেখেই কিন্তু আপনি আন্দাজ করতে পারবেন আদতে আপনি ঠিক কি দ্বারা ভুগছেন। সবকিছুর লক্ষণ একেবারেই এক নয়। কোনোটিতে মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে তো আবার কোনোটিতে খাবার ইচ্ছে চলে যাচ্ছে। সবকিছুর সঙ্গে নিজের শারীরিক রোগটিকে একেবারেই গুলিয়ে ফেলবেন না। চিকিৎসকরা কী বলছেন এই বিষয়ে? তাদের বক্তব্য সাধারণ জ্বর কিংবা ভাইরাল ফ্লু হলে দৈনিক বেশ কয়েক পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। প্রথম দিনের তুলনায় শেষ দিনের শারীরিক অবস্থা বেশ আলাদা।
প্রথম দিনের ক্ষেত্রে সেরকম কিছু শারীরিক বিপত্তি বুঝতে না পারার সম্ভাবনা বেশি। সাধারণত বিশ্রামে থাকলে আপনি বেশি কিছু আন্দাজ করতে পারবেন না তবে খাটাখাটনি করতে শুরু করলেই বেশ কিছু ব্যথা বেদনা এমনকি গা হালকা গরম এই জাতীয় কিছু অনুভূত হতে পারে।
দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ দিন, এইসময় শরীরে বেশ কিছু প্রাক লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন গলা ব্যথা, নাক বন্ধ, কাশি, হালকা জ্বর এবং মাথা যন্ত্রণা। চার দিনের মধ্যে এটি বেশি পরিমাণে শরীরে ইফেক্ট করতে শুরু করবে। এবং পরবর্তীতে ধারে কাছে মানুষদের থেকে দূরত্ব অবলম্বন করাই ভাল।
ছয়দিনের থেকেই আস্তে আস্তে একটু সুস্থ অনুভব করতে শুরু করবেন। নাক খুলতে শুরু করবে যদি এটি না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফলের রস খেতে হবে। ভেপার নিতে হবে। হেলদি খাবার খাওয়া বজায় রাখুন।
সাতদিন থেকে শ্বাস নিতে আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শরীর সায় দিতে শুরু করবে যদি বেগতিক বোঝেন তবে বন্ধুদের থেকে দূরেই থাকুন। এবং অবশ্যই করোনা টেস্ট করিয়ে নিন।
বাড়িতে কী ধরনের যত্ন নেবেন!
প্রথমেই চেষ্টা করবেন আর যেন ঠান্ডা না লাগে। ভালভাবে বিশ্রাম নিন ৪/৫ দিন। সঙ্গে অবশ্যই লেবু মধুর গরম জল, তুলসী পাতার রস এগুলি খেতে হবে। ফলের রস বেশ দরকার। মোচা খাবেন। একদিন ভাজাভুজি এড়িয়ে যান। চিকেন খেলেও সেটি সেদ্ধ করে খুব কম মশলা দিয়ে খান। আদা দিয়ে লিকার চা হলেও বেশ ভাল। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে একেবারেই ভুলবেন না।
জট তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের ভ্যাকসিন নিয়ে নিন। অন্তত একটি ডোজ হয়ে গেলেও ভাল। এতে শরীরের ইমিউনিটি ক্রমশই বাড়তে পারে এবং ফ্লু এর সঙ্গে যুঝবার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন