একসময় শীতকাল আর বর্ষাকাল মানেই দিনের মধ্যে একবার চবন প্রাশ ছিল মাস্ট। বর্তমান সময়ে এর প্রচলন খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু এই দুই ঋতুতে বাচ্চাদের নিত্য সঙ্গী ছিল এই চবনপ্রাশ। একটু আঠালো এবং সব রকম স্বাদযুক্ত এই খাদ্যবস্তু শরীরে সাংঘাতিক পরিমাণে ইমিউনিটি বাড়াতে পরেই সকলে জানতেন। এক চামচ খেলেই ঠান্ডা লাগবে না, শরীর খারাপ হবে না, এই ধারণা ছিল সর্বোচ্চ। এখনও বাজারে কিন্তু এগুলি ছড়িয়ে আছে তবে খাবার হিসেবে গ্রহণ করার বিষয়টি হারিয়েছে বেশ অনেকদিন হল।
তবে চবন প্রাশ কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেই নিয়ে অনেক তথ্য রয়েছে। আয়ুর্বেদিক গুণাবলী সমৃদ্ধ এই খাবার কতটা এই মরশুমে এবং ভয়াবহতার যুগে কার্যকরী সেই নিয়েও জানা প্রয়োজন। চবন প্রাশ হল একটি মিশ্র খাদ্যবস্তু, যার মধ্যে ভেষজ গুণে ভরপুর এবং প্রচুর মশলা সমৃদ্ধ। উপাদানের মধ্যে থাকে ভিটামিন, মিনারেলস, এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। চবনপ্রাশে এগুলি ছাড়াও, আমলকী, যোস্থী মধু ছাড়াও নানা ধরনের আয়ুর্বেদিক শেকড় এবং দুর্লভ মশলার সহযোগ রয়েছে।
সবধরনের খাদ্য উপাদানগুলি অ্যান্টি কারসিনোজেনিক, অ্যান্টি মিউটোজেনিক রয়েছে এবং এগুলি কিন্তু শরীরের পক্ষে বেশ ভাল। শরীরের কোষ এবং প্যাথ যেন গুলিকে সমৃদ্ধ করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই প্রতিদিন এটি খেলে কিন্তু আপনার উপকার হবে। সবরকম মশলা থাকে বলেই এর ঝাঁঝালো ভাব নানানভাবে দেহকে সুস্থ রাখতে পারে।
শরীরের আর কোন সমস্যা এটি দূরে করতে পারে?
শুধুই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নয়। শ্বাসযন্ত্র জাতীয় সবরকম সমস্যা দূর করতে পারে এটি। মিউকাস জনিত সমস্যা দুর করে এবং শরীরে সুস্থতা বজায় রাখে। এছাড়াও যদি আপনার হজম কিংবা গ্যাস অম্বল জাতীয় সমস্যা থেকে থাকে তবে এক গ্লাস জলের সঙ্গে এটি রোজ খেলে বেশ কাল কাজ দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের প্রজননে অসুবিধা, তাদের জন্যও এটি বেশ সহায়ক। অনেক সময় দাঁত কিংবা মাড়িতে ব্যথা থেকেও মানুষ অনেক কষ্ট পেতে পারেন তবে সেই ক্ষেত্রেও চবন প্রাশ কার্যকরী।
কখন কীভাবে খেতে পারেন?
রোজ ১ চামচ গরম জলের সঙ্গে বড়োদের জন্য। এবং ছোটদের জন্য ১/২ চা চামচ যথেষ্ট। অতিরিক্ত মাত্রায় খেতে শুরু করলে কিন্তু আপনিই ভুগবেন। পেট গরম কিংবা তলপেটে ব্যাথা শুরু হতে পারে। এবং অবশ্যই যখন কিনবেন তখন কী কী দিয়ে তৈরি সেটি একবার দেখে নেবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন