Advertisment

ডায়াবেটিস নিয়ে এই ভুল ধারণাগুলি দূর করুন

ডায়াবেটিস নিয়ে বেশ কিছু ভুয়ো তথ্য রয়েছে, সেগুলি জেনে নেওয়া আবশ্যিক।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

হাই ব্লাড সুগার এর লক্ষণ মানেই প্রথমে রোগীকে দোষারোপ করা হয় অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার জন্য। মিষ্টি, অথবা চায়ে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থেকেই নাকি সুগারের সূত্রপাত হতে পারে এমনটাই ভাবনা চিন্তা আপামর জনসাধারণের। কিন্তু আদৌ এর সত্যতা কত? 

Advertisment

বেশিরভাগ সময়ই চায়ের চিনি আর দোকানের মস্তকে দোষারোপ করতে গিয়ে আমার আসল কারণগুলোকেই উপেক্ষা করে যাই। সমস্যার গোড়া অবধি পৌঁছায় না কেউই। কিন্তু আদতেই সুগার কেন হয় এই নিয়ে নানান মতভেদ রয়েছে। তাঁর সঙ্গেও রয়েছে বেশ কিছু তথ্যের হেরফের। অনেকেই ডায়াবেটিস এবং ব্লাড সুগারকে মিলিয়ে দিয়েই শারীরিক গোলমালের সূত্রপাত করেন। আদৌ কোনটি ঠিক এবং ভুল এই নিয়ে জল্পনা প্রচুর। তার সঙ্গেও ডায়াবেটিস নিয়ে বেশ কিছু ভুয়ো তথ্য রয়েছে, সেগুলি জেনে নেওয়া আবশ্যিক।

প্রথমেই, মিষ্টি কিংবা সোডা অথবা চিনি থেকে কিন্তু সুগার হতে পারে না! এর সম্ভাবনা খুবই কম! এর কারণে আপনার ওবেসিটি বেড়ে যেতে পারে এবং সেই থেকে ডায়াবেটিস হতে পারে তবে সুগার হবেই এমন কোনও প্রমাণ নেই। ডায়াবেটিসের অর্থ বহুমূত্র রোগঃ আর সুগার অর্থাৎ উচ্চ রক্ত শর্করা। মূলত টাইপ টু ডায়াবেটিস তখনই ঘটে যখন দেহে সঠিক মাত্রায় ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না। এবং ইনসুলিন প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকবে। এমনকি পারিবারিক সূত্রেও মানুষের দেহে শর্করা রোগ আসতে পারে। 

দ্বিতীয়ত, যারা ডায়াবেটিক রোগী তারা নাকি মিষ্টি একেবারেই খেতে পারেন না? এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। কারণ মানবদেহে কার্বোহাইড্রেট অবশ্যই দরকার। তবে কারওর দেহে বেশি আর কারওর আবার কম। তাই এর মাত্রা গুনেই আপনাকে খেতে হবে। যদি আপনার একেবারেই মিষ্টি জাতীয় কিছুই না খান তবে শরীরে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে উল্টে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। একটু মিষ্টি খেলে বরং ডায়াবেটিক রোগীদের গ্লুকোজ লেভেল সঠিক অবস্থায় থাকে। 

তৃতীয়ত, গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ডায়াবেটিক থাকলে শিশুরও সেই রোগের লক্ষণ মেলে? একেবারেই না। বেশিরভাগ মায়েরাই প্রেগনেন্সি অবস্থায় সুগার এবং প্রেসারের আওতায় নতুন ভাবে পড়েন। তবে এই ক্ষেত্রে কিন্তু কোনওরকম সত্যতা নেই। আপনার শিশুর শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা সঞ্চার হলেও ওর জন্মানোর সময় ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে তবে এর থেকে বেশী আর কিছু হওয়ার নেই। তাও প্রয়োজনে চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলা ভাল। 

চতুর্থত, ডায়াবেটিস রাতের ঘুম কমিয়ে দেয়! এটি একেবারেই সত্য। রাতের বেলা চূড়ান্ত পরিশ্রমের পরেও কিন্তু সহজে ঘুম আসে না এবং মাঝে মধ্যেই ঘুম ভেঙে যায়। ফলেই ক্লান্তি ঘুচতে চায় না। 

পঞ্চমত, মানসিক অবস্থা শোচনীয় হতে থাকে? এই যেমন বেশি বেশি রাগ হয়, ডিপ্রেশন চলে আসে এবং সহজেই বিরক্তি বোধ হতে থাকে। এই বিষয়টি উপেক্ষা করার নয়। এটি সত্যিই হতে পারে। 

ষষ্ঠ, ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে অনেকেরই কিন্তু স্কিন বেশ খারাপ হয়ে যায়। একরকম সাপের খোলসের মত আকার নিতে পারে। এবং এই বিষয়টি সত্য। যতক্ষণ না পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ওষুধের সঙ্গে মোকাবিলা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সারবে না। 

এবার আর ভুল নয়, সঠিক ভেবে চিন্তেই কাজ করবেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

health diabetes
Advertisment