পৃথিবীর বুকে মহামারী এবং তার সঙ্গেই ভ্যাকসিন কিংবা প্রতিষেধক নেওয়ার ধুম। যদিও না ছোট থেকে অনেক ধরনের বুস্টার কিংবা রোগের সঙ্গে লড়বার নানা ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। তবে ভ্যাকসিন শুধুই যে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায় এমন কিন্তু নয়, তার সঙ্গে এটি মানুষের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সমান দরকারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহকেই 'world Immunization week' হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের গুরুত্ব বুঝতে হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া বাধ্যতামূলক! একজন শিশুকে জন্মের পর থেকে, রোগের সঙ্গে লড়তে কিংবা মানুষের সংস্পর্শে আসার আগেই নানা ধরনের ভ্যাকসিন সময় মত দেওয়া হয় এতে ওদের শরীর সুস্থ থাকে। শিশু বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসক ফাজাল নবী বলছেন, "শিশুদের ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে খুব দরকার। ওদের সুস্বাস্থ্য সবথেকে বেশি জরুরি। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরালো হয়। অ্যান্টিবডিগুলি, যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, দুর্বল জীবাণুগুলো সহজেই মরে যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। এর কারণে শরীরের জটিলতা অনেকটা কমে যায়।"
অনেক সময় দেখা যায় একটি ভ্যাকসিনের অনেক ডোজ থাকে সেই সময় একাধিক ডোজ নিলে কিন্তু রোগ থেকে সম্পূর্ন সুস্থ থাকা যায়। ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বলতে গেলে, এর সম্পর্কে গুরুতর আলোচনা করা প্রয়োজন। এর ক্ষমতা শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক বেশি, যে কারণেই সকল মানুষের এটি প্রয়োজন - অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন সঠিক সময়ে সেটি মানবদেহে প্রদান করা হয়।
জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার সময় বিভিন্ন বয়সে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। রেকর্ড বজায় রাখতে একটি কার্ড দেওয়া হয় যাতে নির্দিষ্ট সময় এবং বয়স উল্লেখিত থাকে। সমস্ত ভ্যাকসিন আপ টু ডেট কিনা সেটি দেখা হয়।
শিশুদের সবসময় নিরাপদে টিকা দেওয়া উচিত। অর্থাৎ ডিপথেরিয়া, পেরটুসিস এবং টিটেনাস এগুলিকে একসঙ্গে দেওয়া ভাল। এর থেকে শিশুর শরীরে অস্বস্তি যথেষ্ট কমতে পারে। তারা সহজেই রোগমুক্ত হয়।
ভ্যাকসিন হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেমন শরীরে লাল ভাব, ফুসকুড়ি, জ্বর, গা হাত পা ব্যথা। আবার এই সমস্যা কদিনের মধ্যেই চলে যায়। আগে ভ্যাকসিনের স্থানে ঠান্ডা গরম সেঁক দেওয়ার কথা বলা হত এখন সেটি না হলেও চলে। বিশেষ করে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় অনেকেই প্যারাসিটামল সেবন করেছিলেন। গুরুতর প্রতিক্রিয়া একেবারেই দেখা যায় না।
হালকা অসুস্থতার সময় ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। তবে জ্বর জ্বালার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটির ক্ষেত্রে আগে সুস্থতা প্রয়োজন তারপরে ভ্যাকসিন।