শিবের অর্চনার সেইভাবে কোনও বিশেষ দিন হয় না, শিব আদি এবং অনন্ত, মহাদেবের অধিষ্ঠান এই জগৎ সংসারের সর্বত্রই! তবে মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে ভোলানাথের বিশেষ পুজোয় থাকে আলাদাই শান্তি, শিবের সঙ্গেই শক্তির আরাধনা হয় এদিন। এইবছর মহা শিবরাত্রির পূণ্য লগ্ন, ১লা মার্চ।
নির্ঘণ্ট :- দৃক পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী, শিব চতুর্দশী তিথি শুরু ১লা মার্চ রাত ৩ টে ১৬ মিনিট থেকে ২রা মার্চ রাত ১টা পর্যন্ত। চারপ্রহর মেনেই শিবরাত্রি উপলক্ষে পূজা করতে হয়। শেষ প্রহর অর্থাৎ নিশিতা কালের সময়, ২রা মার্চ রাত ১২টা ৮ মিনিট থেকে ১২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত।
প্রথম প্রহর :- মার্চ ১ ( ৬টা ২১ মিনিট থেকে ৯টা ২৭ মিনিট )
দ্বিতীয় প্রহর :- ৯ টা ২৭ মিনিট ( ১লা মার্চ ) থেকে ১২টা ৩৩ মিনিট ( মার্চ ২ )
তৃতীয় প্রহর :- রাত ১২ টা ৩৩ মিনিট থেকে ভোর ৩টে ৩৯ মিনিট ( মার্চ ২ )
চতুর্থ প্রহর :- ৩টে ৩৯ মিনিট থেকে ভোর ৬টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ( ২রা মার্চ )
ইতিহাস এবং প্রাসঙ্গিকতা :-
এইদিনে চার প্রহরে উপোস থেকেই শিব অর্চনা করতে হয়। এক এক প্রহরে একেক দ্রব্য, ঘি, মধু, সিদ্ধি, দুধ, নারকেলের জলের দ্বারাই পুজো করতে হয়। অনেকেই শিবরাত্রির আগের দিন অর্থাৎ ত্রয়োদশী উপলক্ষে সংযম করার পরিকল্পনা করেন। এদিন সারা সময়ে একবার খাবার খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। সকালের পুজো সারার পরে সংকল্প করে সারাদিন উপোস করে সন্ধ্যা থেকেই জল ঢালার নিয়ম আছে।
কেন এই পুজো করা হয়?
পুরাণ কিংবা শাস্ত্র মতে, এই দিনেই ভগবান শিবের লিঙ্গ রূপটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ পেয়েছিল। তাই এইদিন শিবের ভক্তদের কাছে এক মহান দিন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অনেকেই বলেন সন্ধ্যায় পুজো করতে যাওয়ার আগে স্নান করা খুব ভাল। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পুজোয় অংশ নিতে পারেন।