হার্ট জাতীয় সমস্যা মানুষের মধ্যে খুব স্বাভাবিক! বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের কারণে প্রচুর মানুষের মধ্যে নতুন করে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা বারবার হার্ট ফেলের সমস্যাটিকে ইঙ্গিতও করছেন। তাই এটিকে সুস্থ তথা সবল রাখতে গেলে বেশ কিছু বিষয়ে জানা প্রয়োজন। প্রসঙ্গেই জানিয়েছেন চিকিৎসক গণেশ নাল্লুর শিভু।
হার্ট ফেল আসলে কী?
হার্টের কাজ হল মস্তিষ্ক, কিডনি এবং শরীরের রক্ত কোষগুলি তে রক্ত সঠিক মাত্রায় পৌঁছে দেওয়া। যখন সে এই কাজ করতে ব্যার্থ হয়, অর্থাৎ সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না তখনই এই সমস্যা দেখা দেয়। তাকে হার্ট ফেলিওর বলে।
কি ধরনের লক্ষণ কিংবা উপসর্গ দেখা যায়?
তিনি বলছেন, অনেকসময় হাঁটতে গিয়ে খুব সমস্যা হয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, পা এবং পেট ফুলে যাওয়া কিংবা ক্লান্তি। দুর্বলতা, শক্তির অভাব এগুলি খুব সাধারণ লক্ষণ।
কাদের মধ্যে হার্ট ফেলের সম্ভাবনা বেশি?
তিনি বলছেন, যারা আগে থেকেই হার্ট অ্যাটাকের রোগী কিংবা এনজিওপ্লাস্টি, করোনারি আর্টারি বাইপাস ইত্যাদির ভুক্তভুগী তাদের মধ্যে এই লক্ষণ বেশি থাকে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস থেকেও হতে পারে হার্ট ফেল। তিনি আরও বলেছেন ভাইরাল কোনও অসুস্থতা থেকেও অল্প বয়সীদের হার্ট ফেলের সমস্যা হতে পারে।
কী ধরনের পরীক্ষা করা হয়?
সাধারণত, ইসিজি অথবা ইকোকার্ডিওগ্রাম, এবং রক্ত পরীক্ষা করা হয়। হৃদপিন্ডের আল্ট্রা সাউন্ড পরীক্ষা করতেই এই টেস্ট করা হয়। এছাড়াও কার্যকরী ক্ষমতা কিংবা ভালভের কর্মক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়।
রক্ত পরীক্ষার মধ্যে থাইরয়েড, অ্যানিমিয়া টেস্ট, কিডনি টেস্ট এগুলি করা হয়ে থাকে। হার্টের ব্লকেজ কিংবা করোনারি এনজিওগ্রাম অনেকসময় করা হয়ে থাকে।
চিকিৎসার কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে ( ACE INHIBITORS, AT2 ANTAGONIST ) ডিউরেটিকস অথবা মূত্রবর্ধক কিংবা ওয়াটার ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
রোগীদের কীভাবে নিজেদের যত্ন নেওয়া দরকার?
চিকিৎসকের বলে দেওয়া ওষুধ অবশ্যই খাওয়া উচিত
বেশ কিছু শারীরিক ব্যায়াম কিংবা হাঁটাচলা রোজ করতে হবে।
রোজ নুন খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে
ফ্লুইড জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে
চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে রোজ পরামর্শ আদান প্রদান করতে হবে