নিজের স্কিনের অনুপযোগী কোনও প্রোডাক্ট কিন্তু একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনি আমি এরম অনেকেই লোকমুখে শুনে আগা মাথা না জেনেই অনেকরকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলি স্কিনের ভীষণভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে। সবকিছু সবার স্কিনে সাইট একেবারেই করে না, এবং সেই কারণেই যেকোনও প্রসাধনী ব্যবহারের আগে ভেবে চিন্তে নিতে হয়।
ত্বক কিন্তু একবার খারাপ হতে শুরু করলেই বেজায় সমস্যা। বিশেষত যাদের খুবই সেন্সিটিভ স্কিন তাদের খুবই অসুবিধে। কখনই না জেনে না বুঝে হঠাৎ করাই মুখে কিছু লাগাবেন না। আর্থি রাগুরাম ( প্রতিষ্ঠাতা, দেয়গা অর্গানিক ) বলেন, নতুন কোনও প্রোডাক্ট নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার সময় বেশ কিছু চিন্তা ভাবনা করে রাখতে হবে! সেগুলি নিয়েই তিনি বিস্তারিত ভাবে বলেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী,
যেকোনও প্রোডাক্ট নতুন ভাবে ব্যবহার করার আগে আস্তে ধীরে এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে শিখুন। অন্তত একমাস সময় নিন। পুরনো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। সক্রিয় উপাদানগুলির সঙ্গে একাধিক পণ্য যোগ করা আপনার ত্বকের জন্য অপ্রতিরোধ্য হতে পারে এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার ত্বকের জন্য কোন পণ্যটি আসলে কাজ করে তা বোঝা কঠিন হবে, তাই আপনার উৎসাহের ভারসাম্য বজায় রাখুন এবং এটিকে ধীরভাবেই ত্বকের ধরনের সঙ্গে বুঝে উঠতে দিন।
দ্বিতীয়ত, প্যাচ টেস্ট খুব জরুরি। যে ধরনেরই স্কিন হোক না কেন, এতে উপস্থিত সক্রিয় উপাদানগুলি কিন্তু স্কিনে রিয়্যাকশন কিংবা ত্বকের সমস্যাগুলোকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কোনও রকম প্রসাধনী নতুন ব্যবহার করার পূর্বে আগে অল্প পরিমাণে নিয়ে দেহের নির্দিষ্ট কিছু স্থান যেমন কনুই এর নিচে ২৪ ঘণ্টার জন্য লাগিয়ে দেখুন অনেকটাই আন্দাজ করতে পারবেন এটি আপনার ত্বকের উপযোগী কিনা! জ্বলুনি কিংবা চুলকানি অনুভব হলে এটি আপনার জন্য সঠিক নয়।
তরল থেকে গাঢ় এই পদ্ধতিতেই সবসময় প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাই করা উচিত। হুটহাট করে স্কিনে কিছু লাগিয়ে দেবেন না। প্রথমে ক্লিনজার, তারপরে টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার থেকে সানস্ক্রিন এইভাবেই পরপর অ্যাপ্লাই করা উচিত।
নতুন কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে। সবার স্কিন সমান নয় সেইকারণেই অনেকের ইফেক্ট দেখাতে সময় লাগে বেশ অনেকদিন। যদি সেই প্রসাধনীর ভালগুন আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে কাজ দেয় তবে আপনি প্রথম থেকেই ফলাফল বুঝতে পারবেন। স্কিন সতেজ হবে, সুন্দর হবে এবং কোষের নির্জীব ভাব কমে যাবে।
আরেকটি বিষয়, নতুন প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে প্রথমে কিন্তু স্যাম্পল ব্যবহার করতে পারো। তবে কিন্তু এর ধাঁচ বেশ ভাল বুঝতে পারবে। এতে আর্থিক গরমিল হবে না। যদি সুট না করে তবে পয়সা গচ্ছা যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এই ভাবনা কিন্তু রাখতেই পারো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন