সর্বাপেক্ষা বাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ভারত সরকারের গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। তার মধ্যে কলকাতা নেইই, নাম নেই রাজ্যের অন্য কোনও শহরেরও। দেশের ১১১টি শহরের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বাসযোগ্য পুনে। প্রথম তিনের অন্য দুই শহর হল মহারাষ্ট্রের নভি মুম্বই ও গ্রেটার মুম্বই। ৬ নম্বরে রয়েছে ঠানের নাম।
কলকাতাবাসী সান্ত্বনা পেতে পারেন এই ভেবে যে, রাজধানী নয়া দিল্লি ১১১-র মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে ৬৫ নম্বরে। প্রথম দশে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর যেসব রাজ্যের কোনও শহরই স্থান পায়নি, সেগুলি হল উত্তর প্রদেশ, তামিল নাড়ু ও কর্নাটক।
তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যে সব রাজ্য়ে ভোট আসছে, সেই মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ের রাজধানী প্রথম দশে স্থান করে নিতে পেরেছে। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল ধসম স্থানে রয়েছে। ছত্তিসগড়ের রাজধানী রায়পুর রয়েছে সাত নম্বরে। মধ্যপ্রদেশের আরেক শহর, ইন্দোর তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে। গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এই সূচক প্রকাশ করেছেন।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে প্রথম দশে জায়গা করে নিতে সমর্থ হয়েছে চণ্ডীগড়। তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে এই শহর। অন্ধ্রপ্রদেশের দুই রাজ্য, তিরুপতি ও বিজয়ওয়াড়া যথাক্রমে চতুর্থ ও নবম স্থানে রয়েছে।
গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এই সূচক প্রস্তুত করে প্রতিটি শহরকে নিজেদের বাসযোগ্যতা পরিমাপ করতে এবং তারা যাতে নিজেদের উন্নত করে সে ব্যাপারে উৎসাহ যোগাতে। চারটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়। প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মত সামাজিক পরিকাঠামো, অর্থনৈতিক দিক এবং অন্যান্য পরিকাঠামো।
প্রশাসনিক হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে, নভি মুম্বই, তিরুপতি এবং করিম নগর। অর্থনৈতিক বিচারে সর্বাপেক্ষা তিন বাসযোগ্য শহর চণ্ডীগড়, আজমীর এবং কোটা। সামাজিক পরিকাঠামোর হিসেবে শীর্ষ তিন শহর হল তিরুপতি, তিরুচিরাপল্লী এবং নভি মুম্বই। অন্যান্য পরিকাঠামোর হিসেবে শীর্ষে রয়েছে গ্রেটার মুম্বই। দুই ও তিনে রয়েছে যথাক্রমে পুনে ও ঠানে।