Lancet study: ফিটনেস টেস্টে ফেল, রোগের ডিপো অর্ধেক ভারতীয়ই, ভয়াবহ ছবি প্রকাশ ল্যানসেটের
Indians physically unfit: অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ করা ব্যক্তিদেরকে দৈনিক অন্তত ২০ মিনিটের বা সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের মাঝারি ধরনের শরীরচর্চা অথবা ৭৫ মিনিটের বেশিমাত্রায় শরীরচর্চা শারীরিকভাবে সক্ষম করে তোলে।
Indians physically unfit: অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ করা ব্যক্তিদেরকে দৈনিক অন্তত ২০ মিনিটের বা সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের মাঝারি ধরনের শরীরচর্চা অথবা ৭৫ মিনিটের বেশিমাত্রায় শরীরচর্চা শারীরিকভাবে সক্ষম করে তোলে।
Physically-fit: ১৯৫টি দেশের মধ্যে ভারত আছে ১২ নম্বরে। (প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি)
Lancet study says half of Indians physically unfit: ল্যানসেট সমীক্ষা বলছে অর্ধেক ভারতীয়ই শারীরিকভাবে অযোগ্য বা অক্ষম। আর, এই তথ্য রীতিমতো উদ্বেগের। কারণ, ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ-এ প্রকাশিত এই তথ্য বলছে, অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় পর্যাপ্ত শরীরচর্চার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নির্দেশিকাই পূরণ করেন না। যার ফলে, তাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ছেন। আর, পুরুষদের (৪২ শতাংশ পুরুষ) তুলনায় বেশিসংখ্যক নারী (৫৭ শতাংশ) শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়।
Advertisment
উদ্বেগজনক বিষয় সবচেয়ে উদ্বেগজনক হল, এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে অপর্যাপ্ত শরীরচর্চার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। ২,০০০ সালে তা ছিল ২২.৩ শতাংশ। সেটাই ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ। যার অর্থ, আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ ২০৩০ সালের মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা হারাবে। আর, পর্যাপ্ত শরীরচর্চা না করার জন্য বারো রোগে ভুগবে।
হু কী বলে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও বা 'হু') সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদেরকে প্রতিসপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিটের মাঝারি অ্যারোবিক শরীরচর্চা বা (সেরকম জোরালো শরীরচর্চা) করার সুপারিশ করে। অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ করা ব্যক্তিদেরকে দৈনিক অন্তত ২০ মিনিটের বা সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের মাঝারি ধরনের শরীরচর্চা অথবা ৭৫ মিনিটের বেশিমাত্রায় শরীরচর্চা শারীরিকভাবে সক্ষম করে তোলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা প্রাপ্তবয়স্কদের কার্ডিওভাসকুলার রোগ যেমন হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া এবং স্তন এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে।
(গ্রাফিক্স- অভিষেক মিত্র)
Advertisment
বিশ্বে ভারতের স্থান মোট ১৯৫ দেশের মধ্যে সমীক্ষা করা হয়েছিল। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ, এই প্রবণতার তালিকায় ভারত বিশ্বে ১২তম স্থানে আছে। বিশ্বব্যাপী, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ (৩১ শতাংশ) বা প্রায় ১৮০ কোটি মানুষ, ২০২২ সালে শরীরচর্চার নির্দেশিকা পূরণ মানেননি। এমনই জানিয়েছেন, ডব্লিউএইচও-এর স্বাস্থ্য প্রচারের পরিচালক ডা. রুডিগার ক্রেচ। তিনি জানিয়েছেন, উচ্চ আয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (৪৮ শতাংশ) এবং দক্ষিণ এশিয়ায় (৪৫ শতাংশ) শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার সর্বোচ্চ। উচ্চ-আয়ের পশ্চিমী দেশগুলিতে ২৮ শতাংশ এবং ওশিয়ানিয়ার ১৪ শতাংশ বাসিন্দা শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়।
বৃদ্ধি পাচ্ছে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ড. ক্রেচ বলেছেন, 'বিশ্বজুড়েই শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়ছে। আর, এটা হচ্ছে অনেক কারণে। যার মধ্যে রয়েছে কাজের ধরণে পরিবর্তন। বিশেষ করে বেশি পরিমাণে বসে কাজ করার জন্য। এছাড়াও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়ছে পরিবেশের পরিবর্তন, আধুনিক পরিবহণের জন্যও। পাশাপাশি, মানুষের অবসর কাটানোর মধ্যেও বিরাট বদল এসেছে। মানুষ এখন অনেক বেশি মোবাইল, ল্যাপটপের মত স্ক্রিননির্ভর হয়ে পড়েছে। আর, এসব কারণেই শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাও দিনকে দিন বাড়ছে।'