লক্ষ্মীপুজো মানেই বাঙালিদের কাছে আলাদাই এক উৎসব। এদিন খাবার দাবারে যেমন নজরকাড়া আয়োজন থাকে তেমনই, সাজগোজ যদি সঠিক না হয় তবে বড়ই সমস্যা। বাড়িতে অতিথিরা আসবেই, তাই নিজেকে মানানসই সাজে সজ্জিত রাখতেই হবে।
Advertisment
সকাল থেকে কাজ আর কাজ! ঠাকুরের দিক গোছানো থেকে ভোগের আয়োজন তাঁর সঙ্গে ঘর সামলানো রয়েছেই। কিন্তু এসবের মাঝে সাজতে ভুলে গেলে চলবে না একেবারেই। যদিও বাড়ির পুজোয় মানে তাতে খাটাখাটনি লেগেই আছে। তারপরেও এইদিন মা লক্ষ্মীর সঙ্গে নিজেও সেজে উঠুন। উৎসব মানেই সাজগোজ।
বিকেল গড়ালেও গরমের ভাব একটু রয়েই যায়। তাই লক্ষ্মীপুজোর দিন, জমকালো না সেজে হালকা মেকআপ করলেই বেশি মানানসই। আর পুজো মানেই শাড়ি। তবে হাজারো কাজের মাঝে এদিন, শাড়ি মানে হওয়া উচিত, হালকা ওজনের নরম মোলায়েম কিছু। কী পড়লে আপনাকেও সাক্ষাৎ লক্ষ্মী লাগতে পারে?
যেহেতু, মা লক্ষ্মীর আরাধনা তাই এদিন কালো অথবা নীল কিছুই পড়বেন না। বরং লাল, গোলাপী, বাসন্তী হলেই চলবে। সাদা লাল পাড় শাড়িও পড়তে পারেন। সোনার গয়না ক্যারি করতে সুবিধা হলে পড়তে পারেন। শাড়ির মধ্যে হালকা জামদানি কিংবা, হ্যান্ডলুম সবথেকে ভাল অপশন। এর সঙ্গে সোনালী গয়না অথবা অক্সিদাইজ পড়তেই পারেন।
একটু আধুনিক সাজতে চাইলে অরগঞ্জা হতে পারে আরেক পছন্দ। হালকা শাড়ি, দীর্ঘসময় পড়তে পারেন কোনওরকম অসুবিধা হবেই না। কিংবা পিওর সিল্ক হতে পারে আপনার সঙ্গী। এইদিন হালকা মুক্তোর গয়নাও আপনি শাড়ির সঙ্গে পছন্দ অনুযায়ী পড়তে পারেন।
তসর পড়তে পারেন। সঙ্গে বোটকাট ব্লাউজ কিংবা হাতকাটা। হাতে বালা পড়লে আর কে দেখে! সাবেকি সাজে জুইফুলের মালা অবশ্যই খোঁপায় লাগাতে পারেন। আর যদি শাড়ি পড়তে একান্তই ভাল না লাগে তবে অবশ্যই, কটনের কিছু পড়ুন। সুতির কুর্তা, কিংবা কাফতান স্টাইলের পোশাক - ট্রেন্ডি এবং কমফোর্ট দুইই থাকবে।