বড়রা বলেন, এখন বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরাই নাকি মাত্রাতিরিক্ত অলস। এবং তারা নিজেদের কাজটুকু বাদ দিয়ে কোনকিছুই করতে চান না। এক জায়গায় বসে বসে কাজ হোক কিংবা মোবাইল ঘাটা, নড়াচড়ায় বেজায় নারাজ। তবে জাপানের এই পদ্ধতি আপনাকে নতুন করে মেলে ধরার সুযোগ করে দেবে! কেমন করে?
যেকোনও কাজের আগে প্রত্যেকের উচ্ছাস - মতামত এবং অনুপ্রেরণা প্রয়োজন, তবেই সেই কাজ খুব ভালভাবে সম্পন্ন হয়। আর মন মানসিক ঠিক না থাকলে আপনারই মুশকিল। সুতরাং যেটি করতে হবে সেই পদ্ধতির নাম হল কাইজেন ( Kaizen ) - এটি এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমেই আপনি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সচল অনুভব করবেন।
কাইজেন আসলে ঠিক কী?
এটিকে চিকিৎসার ভাষায় ওয়ান মিনিট প্রিন্সিপল বলা হয়। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে, অথবা নিজেকে মোটিভেট করতে এটি আপনার কাজে আসতে পারে। এতে অলসতা কমে গিয়েই, কাজ করার ইচ্ছে বাড়তে থাকে। জাপানিজ ভাষায়, কাই শব্দের অর্থ চেঞ্জ অথবা পরিবর্তন এবং জেন অর্থাৎ উইজডম বা ইচ্ছে। মাসাকি ইমাই নামক এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই থেরাপির আবিষ্কার করেন।
ইমাই মনে করেন, এমন একদিনও পার হয় না যেখানে আপনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ না করে চলে আসেন সেই ব্যাপ্তি আরও বাড়াতে হবে। কাইজেন একদিন দুদিন নয়, প্রতিদিন অভ্যাস করতে হবে তবেই লাভ।
এটি কীভাবে কাজ করে?
কাইজেন এমন একটি থেরাপি যেটি সারাদিনে আপনার থেকে এক মিনিট চেয়ে নেয়। অর্থাৎ আপনি হঠাৎ করেই যদি কোনও বই পড়ছেন অথবা গব শুনছেন, সেই এক মিনিট আপনাকে নির্দিষ্ট কাজেই ব্যয় করতে হবে। সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে - এবং প্রতিদিন একই সময় এই কাজটি করা বাধ্যতামূলক। যতই অলসতা অনুভূত হতে থাকুক, কাজ শেষ না করে ওঠা চলবে না।
কিছু কিছু বিষয় অবশ্যই এই সময় মনে রাখা দরকার:
প্রথমেই তাড়াহুড়ো করা যাবে না।
প্রতিদিন সমান সময় ব্যয় করতেই হবে।
যখন একটু অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, তখন সময় চাইলে বাড়াতেও পারেন।
সারা জীবনের যেকোনও সময়ে এটিকে অভ্যাস করা যায়, নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই - শুধু মনে রাখবেন নিজের উদ্দেশ্যে টিকে থাকতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন