Advertisment

বয়স বাঁধুন হাতের মুঠোয়, থাকুন ফিট & ফাইন, মেনে চলুন সহজ ৫টিপস

জীবনের একটা বড় সময় কীভাবে ধরে রাখবেন নিজের লাবণ্য, ফুরফুরে মেজাজ? উপায় আপনারই হাতের মুঠোয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Learn five easy tips to keep your age

প্রতীকী ছবি।

বয়স ধরে রাখার বাসনা কার না হয়। তবে শুধু বাসনা থাকলেই তো হবে না, সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে আপনাকেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল হতে হবে। জীবনের একটা বড় সময় কীভাবে ধরে রাখবেন নিজের লাবণ্য, ফুরফুরে মেজাজ? উপায় আপনারই হাতের মুঠোয়। শুধু মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের কয়েকটি টিপস। তাতেই হতে পারে কেল্লা-ফতে!

Advertisment

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুড়োটে হয়ে যাওয়ার মূল এবং অন্যতম প্রধান কারণই হল দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। প্রত্যেকেই ইঁদুর-দৌড়ে ব্যস্ত। শত কাজের মাঝে শরীরের দিকে খেয়াল রাখার সময় কই? সমস্যাটা এখানেই। শরীর সম্পর্কে সচেতন না হলেই কিন্তু ঘোর বিপদ। সময়ের আগেই কেমন যেন বুড়োটে ভাব চলে আসতে পরে আপনার চেহারায়। তারই জেরে হীনমন্যতায় পর্যন্ত ভুগতে হতে পারে আপনাকে। তাই আর দেরি নয়। সহজ-সরল এই টিপসগুলি আজ থেকেই মেনে চলা শুরু করতে পারেন।

মূলত ৫ টি বিষয় মেনে চললে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখা যেতে পারে নিজের বয়স…

পর্যাপ্ত জলপান…

শরীরের যতটা প্রয়োজন ততটা পরিমাণ জল অনেকেই পান করেন না। জল কিন্তু আপনার শরীর সুস্থ রাখার প্রধান এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ত্বকের ঔজ্বল্য ধরে রাখতে সাহায্য করে পরিমিত জল পান। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কম-বেশি ২-২.৫ লিটার জল একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন পান করা উচিত। তবে সবারই যে শরীরে জলের চাহিদা একরকম হবে তা নয়। যাঁরা দিনভর বাইরে ঘুরে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে জলের চাহিদা একরকম হবে। আবার যাঁরা ঠাণ্ডা ঘরে বসে কাজের সুযোগ পান, তাঁদের স্বাভাবিক ভাবেই জলের চাহিদা কম থাকবে।

ঘুম

দিনে আপনাকে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। সারা দিনের হাড়ভাঙা খাটুনি শেষে রতে এই টানা কয়েক ঘণ্টর ঘুম আপনাকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। তবে ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে আপনাকেও যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। রাতে শোয়ার আগে মোবাইল নিয়ে নাড়াচাড়া বা কোনও ধরনের মনোরঞ্জনকারী সামগ্রী নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবনে না। তাহলেই কিন্তু ঘুমের দফারফা।

খাবার

শরীর সুস্থ রাখতে এবং নিজের লাবণ্য ধরে রাখতে ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। দোকানের চাঁপ, বিরিয়ানি-সহ অন্য তৈলাক্ত খাবার আজই বর্জন করুন। তবে বাড়িতে কম তেলে নিত্য নতুন রান্না খেতেই পারেন। যদিও সেটাও অহরহ হলেই মুশকিল। মোটের উপর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন। অনেকেরই শারীরিক নানা সমস্যা থাকে। তাই কোন খাবার খাবেন, কোনটা খাবেন না, সেব্যাপারে চিকিৎসকই সবচেয়ে ভালো করে বুঝিয়ে বলে দিতে পারেন আপনাকে। পরামর্শ নিতে পারেন একজন ডায়েটিশিয়ানেরও।

শরীর চর্চা

ফিট থাকুন, পরিবারের অন্যদেরও ফিট রাখুন। রোজ অন্তত দিনে আধঘণ্টা ব্যায়াম করুন। বাড়ির ছোট্ট সদস্য থেকে শুরু করে বয়স্কদেরও উৎসাহ দিন শরীরচর্চায়। শরীর সুস্থ রাখতে যোগব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। তবে সবারই যে সব ব্যায়াম চলবে তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রেও আপনাকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ঝেড়ে ফেলুন দুশ্চিন্তা, থাকুন পজিটিভ

জীবন-যুদ্ধে প্রত্যেকেরই কম-বেশি চিন্তা থাকে। এটাই স্বাভাবিক। তবে দুশ্চিন্তা কখনই আপনাকে যেন আঁকড়ে ধরতে না পারে। পছন্দের এবং ভরসার ব্যক্তির সঙ্গে নিজের সমস্যার কথা শেয়ার করতে পারেন। মাথা ঠাণ্ডা করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজুন। দিনের পর দিন ধরে অহেতুক দুশ্চিন্তা করে গেলেও শরীরে সময়ের আগেই বুড়োটে ভাব এনে দিতে পারে। এছাড়াও নানাবিধ শারীরিক সমস্যাতেও ভুগতে হতে পারে আপনাকে। তাই দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পজিটিভ থাকুন।

health lifestyle
Advertisment