রাত পোহালেই বাগদেবী আরাধনায় রত হবে আপামর বাঙালি। সকাল সকাল স্নান সেরে কচিকাঁচা থেকে শিক্ষক সমাজ এমনকি পড়ুয়াদের দল, বাসন্তী রঙা বস্ত্র পরে ঝটপট রেডি হয়ে যান সকলেই। তবে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে কোন বিষয়গুলি সবথেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করেন বলুন তো? প্রথম পুরোহিত পাওয়া, দুই পুজোর মন্ত্র থেকে নিয়ম কানুন ইত্যাদি। যদিও বা অনেকেই বিশ্বাস করেন মানুষ যেভাবে পুজো করেন তাতেই ভগবান তুষ্ট! কিন্তু তারপরেও আচার, উপাচার মেনেই পুজো করার মতো আনন্দ কিন্তু কিছুই নেই। আর এইকাজেই সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন ত্রিনয়নী থার্ড আই ওপেনারের সদস্যরা। কীভাবে?
সংগঠনের অন্যতম সদস্য উপাসনা বাগচী বলছেন, "অনেকেই আছেন পুজো নিয়ে বেশ সমস্যায় থাকেন। কীভাবে নিয়ম মানবেন, কোন মন্ত্র উচ্চারণ করবেন এই নিয়েও ভাবনার পাহাড়। বিগত দুইদিন ধরে অনলাইন মাধ্যমেই তারা পুজোর নিয়ম, আচার, উপাচার শিখিয়েছেন ইচ্ছুক ব্যক্তিদের।" কোন মন্ত্র কখন উচ্চারণ করলে দেবী সন্তুষ্ট হবেন সেই নিয়েও জানিয়েছেন তারা। তিনি বললেন, "এইদিন পুরোহিত মশাই নিয়ে অনেকেই ঝামেলা পোহাতে চান না, তাই সবথেকে ভাল নিজে থেকে পুজো করা।"
জানতে চাওয়া হয় কাঠামো পুজোর ক্ষেত্রে কীভাবে শেখান তারা? উপাসনা জানান, সেইক্ষেত্রে বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হয়। যেহেতু কাঠামো পুজোর ক্ষেত্রে নিয়ম অনেক বদলে যায়। যজ্ঞের বিষয় থাকে, আহুতি কীভাবে দেওয়া হয় সবকিছুই শেখানো হয়ে থাকে। পুজোয় যেন কোনও খামতি না থাকে, সেই দিকেও লক্ষ্য রাখেন তারা।
আরও পড়ুন বাগদেবীর সঙ্গে হলুদ রঙের সম্পর্ক কী? জানুন সরস্বতী পুজোর তিথি এবং শুভ সময়
হঠাৎ এমন অভিনব উদ্যোগ কী ভেবে শুরু করেছিলেন তারা? উপাসনার বক্তব্য, তাদের সংগঠন ত্রিনয়নী থার্ড আই ওপেনারের সদস্যরা জ্যোতিষ-পূজার্চনা এবং মনোবিজ্ঞান- এইসব নিয়েই শিক্ষা প্রদান করে থাকে। যেহেতু তাদের প্রত্যেকেই এই বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞানী, তাই তারা নিজেদের মাধ্যমেই সকলকে শিক্ষিত করতে চাইছেন। মানুষের কাছে সহজ উপায়ে পুজোর নিয়ম, উপাচার পৌঁছে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য, সঙ্গেই তারা যে শিখতে পারছেন, পরবর্তীতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এটিও কিন্তু দেখবার মত।