মানুষ সংসারী জীব। আর, এই সংসার বড়ই বিচিত্র জায়গা। কারণ, হাজার রকম লোকের বসবাস। তাঁদের আবার হাজারো চাহিদা। সংসারের সব মানুষই যে সমান হবেন, তেমন কোনও কথা নেই। আর, সেই কারণেই আমরা যাঁরা এই সমাজে থাকি, তাঁরা নানারকম সমস্যার মুখে পড়ি। এমনও কিছু সমস্যা থাকে, যা কখনও এড়ানো সম্ভব হয় না। তার জেরে আমাদেরকে বিপদেও পড়তে হয়।
শুধু বাইরের সমাজই নয়। ঘরেও নানারকম বিষয় আমাদের মনে দুঃখ দেয়। পরিবারের লোকেদের মধ্যেই কলহ, বিবাহ মাঝেমধ্যে চরম আকার নেয়। আর, এসব আমাদের মনের কষ্টের কারণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে আর্থিক ক্ষতি হলে তো সেটা আমাদের ভীষণ খারাপ লাগে। কারও আবার পারিবারিক জীবনের কোনও ঘটনা রীতিমতো কলঙ্কের কারণ হয়ে ওঠে।
এই কলঙ্ক আমরা কেউই চাই না। কিন্তু, সেসব যেন জোর করেই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। কিছু করারও থাকে না। আর, এসবের জন্য হয়তো আপনি জীবনে হতাশ হয়ে পড়ছেন। কিন্তু, মাথায় রাখবেন যে এই সব কিছুই কিন্তু রোখা যায়। আর, সেই পথই দেখিয়ে গিয়েছে আমাদের শাস্ত্র। এই ব্যাপারে শাস্ত্র কী বলেছে? শাস্ত্র বলেছে- 'অর্থনাশং মহস্তাপং গৃহে দুশ্চরিতানি চ। বঞ্চনং চাপমানঞ্চ মতিমান্ ন প্রকাশয়েৎ।' যার বাংলা করতে হয়- অর্থক্ষতি, মনোকষ্ট, গৃহের অনাচার, বঞ্চনা, অপমানের কথা কখনও অন্যের কাছে প্রকাশ করবেন না।
আরও পড়ুন- সঠিক সন্ন্যাসী অথবা গুরুকে চিনবেন কী করে, কী বলছে শাস্ত্র?
কারণ, মানুষের সাহায্য পেলে জীবনে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু, সঠিক বন্ধু বা সঠিক মানুষ সঙ্গে থাকা প্রয়োজন। যিনি সঙ্গে আছেন, তিনি যে সঠিক মানুষ, সেটা আপনি বুঝবেন কী করে? হতেও তো পারে, সেই ব্যক্তি কোনও সুযোগ-সন্ধানী। তাই মুখ খুলে নিজের ক্ষতি করছেন না-তো? আর, এই প্রশ্ন কার্যত তুলে দিয়ে মহামতি চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে উপরের শ্লোকটি লিখে গিয়েছেন। যাতে, আমাকে বা আপনাকে সারল্যের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে না-হয়।