Lightning and safety tips during a thunderstorm: বর্তমানে আকছার বৃষ্টি নামছে। তীব্র গরমের মধ্যে হামেশাই আবহাওয়া দফতর খবর দিচ্ছে, নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। যে কোনও সময় বৃষ্টি নামতে পারে। পাশাপাশি, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, আকাশ আচমকা কালো হয়ে যাচ্ছে। মেঘলা আকাশ অন্ধকার হয়ে গিয়ে বৃষ্টি নামছে।
সমস্যাটা বাড়ির মধ্যে থাকলে কম হচ্ছে। কিন্তু, রাস্তায় থাকলে, এই পরিস্থিতিতে মহা বিপাকে পড়ছেন লোকজন। তখন কিন্তু, সামান্য ভুলচুকেও প্রাণহানির সম্ভাবনা বাড়ছে। আর, ঘটছেও তাই। অনেকে মারা যাচ্ছেন। যাঁরা আঘাত পাচ্ছেন, হয়তো চিরকালের জন্য পঙ্গু হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বজ্রপাতের ফলে গাছের মাথা উড়ে যাওয়া, টিভি, ফ্রিজ বা ইলেকট্রিকের সঙ্গে যুক্ত সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা তো লেগেই আছে।
সেই জন্য বজ্রপাতের সময় রাস্তায় থাকলে কোন ভুলগুলো করা যাবে না, সেটা জানা সবার জন্যই জরুরি। সেগুলো হল- ১) কাছাকাছি কোনও নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ২) সবদিকে খোলা জায়গায় থাকলে, কুঁজো হয়ে মাটিতে বসে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। ভুলেও মাটিতে শুয়ে পড়া যাবে না। অর্থাৎ, শরীরটাকে যতটা সম্ভব ছোট রাখতে হবে। ৩) সবসময় চেষ্টা করতে হবে বাজ পড়ার সময় যাতে ফাঁকা জায়গা এড়ানো যায়। মাঠে থাকলে, দ্রুত অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ৪) তবে, কোনওভাবেই গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া যাবে না। ৫) বিদ্যুতের খুঁটির আশপাশও এড়িয়ে যেতে হবে। ৬) গাড়ির মধ্যে থাকলে গাড়ির কাচে হাত দেওয়া এড়াতে হবে। গাড়ির ধাতব বস্তু স্পর্শ করা এড়াতে হবে। গাড়িটিকে কোনও ছাউনির নীচে নিয়ে যেতে হবে। ৭) কোনও জলাশয়ে থাকলে বা ভিজে শরীরে থাকলে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় পালাতে হবে।
আরও পড়ুন- নির্বাচনী প্রচারে বিরাট অভিযোগ! সরকারি গণমাধ্যমে মত প্রকাশে বিরোধীদের বাধা
সোমবার ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই অনুযায়ী, দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি, বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হওয়ায় বজ্রপাতের সম্ভাবনাও আবহাওয়া দফতর দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, মেঘ গজরাতে শোনা গিয়েছে।