বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্ত্রিক গোলযোগ যেমন খুব স্বাভাবিক বিষয় তেমনই এর প্রভাব পড়ে বাইরেও, স্কিনের সমস্যা হোক কিংবা কালো ঠোঁট! অনেকেই বলে থাকেন, ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে, কালো হয়ে যাচ্ছে এমনকি পাতলা পাতলা চামড়া পর্যন্ত উঠে আসছে। সুন্দর গোলাপী ঠোঁট কে না চায়, তবে ঠোঁটের সমস্যা আপনার নিজের কারণেই বেশি হতে পারে!
Advertisment
ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার কারণ কী?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্কিন আরও পাতলা হতে থাকে। কলোগেন, এলাস্টিন এসবের মাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করে ফলেই স্কিনের আঁটোসাঁটো ভাব কমে যায়! ঠোঁটের চামড়া ভীষণ পাতলা হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই এটি আরও পাতলা হতে শুরু করে। যে কারণগুলি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়,
ধূমপান :- ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার পেছনে ধূমপান এর প্রভাব সাংঘাতিক! ধূমপানের কারণে নিকোটিনের প্রভাবে ত্বকে মেলানিন প্রোডাকশন বেড়ে যায়, ফলেই ঠোঁট কালো হতে পারে।
গর্ভাবস্থা :- এই সময় শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গেই ত্বকের সমস্যাও দেখা যায়। বিশেষ করে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণেই ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়।
ক্যানসিস :- শরীরে অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে, অথবা রক্তপ্রবাহ ঠিকভাবে না হলে, অনেকসময় শরীরে নীলভাব দেখা দেয়, এই সময় শরীরের বিভিন্ন অংশের রং পরিবর্তন হওয়া খুব স্বাভাবিক।
অ্যানিমিয়া :- শরীরে আয়রনের প্রভাব কম থাকলেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন গোটা শরীরে কালসিটে পড়ার মত রক্ত জমাট বাঁধা এবং ঠোঁট কালো হওয়ার মত সমস্যা দেখা যায়।
এছাড়াও, সূর্যের আলোর অতিরিক্ত প্রভাব, লিপস্টিকের প্রভাবের কারণে ঠোঁটের চামড়া কালো হতেই পারে।
রক্ষা করবেন কীভাবে?
প্রতিদিন একে আদ্র রাখতে হবে। ভাল করে কফি কিংবা সুগার স্ক্রাব দিয়ে একে পরিষ্কার করা ভাল। ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। শুকনো ঠোঁট বেশি পরিমাণে ক্ষতি করে।
সূর্যের থেকে একে বাঁচান। সান ব্লক ব্যবহার করুন। সূর্যের আলো থেকে বেরিয়ে এলেই, বরফ দিয়ে একে ঠাণ্ডা করুন। Spf যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।
কিছু বদল আনতে হবে, অর্থাৎ ধূমপান এবং সেই জাতীয় কিছু যেমন পান, খৈনি এগুলি বন্ধ করে দিতে হবে। বেশি দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়াবেন না। ক্যাফেইন গ্রহণ করা কমিয়ে দিতে হবে।
সবসময় লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না, ভিটামিন ই যুক্ত কিছুই ব্যবহার করুন। এর থেকে কালো ভাব অনেক কমবে। সবথেকে বড় কথা লিপস্টিক লাগিয়ে কখনোই ঘুমাবেন না। আগে একে পরিষ্কার করুন তারপর আলমন্ড কিংবা অলিভ অয়েল ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন।
ঠোঁটে মাঝে সাঁঝে মধু কিংবা শিয়া বাটার লাগাতে পারেন, সমস্যা অনেক কমবে।