লিপস্টিক প্রেমী মেয়েদের সংখ্যা এখন খুবই বেশি। আর কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করা হোক বা না হোক, একটু আধটু লিপস্টিক কিন্তু চলতেই থাকে। নানান ধরনের শেড থেকে ভেলভেট কিংবা ম্যাট লিপস্টিকের বৈচিত্র্যের জুড়ি মেলা ভার। তবে অনেকেই বলেন, লিপস্টিক কিন্তু ঠোঁটের পক্ষে সবসময় ঠিক নয়, এটি নানানভাবে ঠোঁটের ক্ষতি করতে পারে।
Advertisment
ডার্মাটোলজিস্ট গুরভিন ওয়াড়াইচ এই প্রসঙ্গেই ধারণা দিয়ে বলেন, লিপস্টিক ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম আছে। যেগুলি মেনে চলা বেশ আবশ্যিক। এবং না হলেই ঠোঁটের রুক্ষতা, শুষ্কতা এর সৌন্দর্য হারিয়ে দিতে পারে। ভিডিও শেয়ার করেই তিনি জানান, লিপস্টিক তৈরি হয় তেল এবং মোম দিয়ে। তার সঙ্গেই থাকে বিভিন্ন ধরনের রং এবং রঞ্জক পদার্থ- যেগুলি ধাতুর মিশ্রণ। তবে স্তরগুলো সুরক্ষা সীমার মধ্যেই রাখা হয় যাতে করে ক্ষতি না করতে পারে।
তারপরেও কিন্তু অনেকেই লিপস্টিকের কারণে ঠোঁটের নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন। যেমন যাদের একটু বেশিই সংবেদনশীল ঠোঁট অথবা একজিমা কিংবা ঠোঁটের বর্ন কালো, তাদের কিন্তু লিপস্টিকের রঙ্গক থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতেই পারে। এই রং একজিমা কিংবা কালো ভাবের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে যেই কারণেই ঠোঁট সহ মুখের অন্যান্য অংশে সমস্যা দেখা দেয়। বেশ কিছু টিপসের উল্লেখ করেছেন তিনি। যেগুলি আপনাকে সমস্যা থেকে সমাধান দিতে পারে।
এসপিএফ সহ একটি লিপ বাম অবশ্যই ঠোঁটে লাগিয়ে নিন লিপস্টিক লাগানোর আগে। সূর্যের হাত থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করা খুব দরকার।
খুব জোরালো ম্যাট লিপস্টিক এর পরিবর্তে হালকা এবং নিউড রঙের লিপস্টিক লাগানোই ভাল। অবশ্যই যেন গ্লসি লিপস্টিক হয়। কারণ এই ধরনের লিপস্টিকে পিগমেন্ট কম থাকে।
দিকে দুবারের বেশি লিপস্টিক লাগানো উচিত নয়।
সবসময় বাড়ির বাইরে বেরলেই লিপস্টিক লাগাবেন না। একটু বাম লাগিয়ে বেরনোর অভ্যাস করুন। ঠোঁট বেশি শুকিয়ে গেলেও কিন্তু সমস্যা।
লিপস্টিকের এক্সপায়েরি ডেট দেখে নিন। দিন পেরিয়ে গেলে একেবারেই সেটি ব্যবহার করবেন না। দরকার পরলে প্রতিদিন একবার করে খতিয়ে দেখে নিন।
মাঝে মধ্যেই ঠোঁট টেপা বন্ধ করুন। এতে ঠোঁটের ময়েশ্চার হারিয়ে যায়। এবং অবশ্যই ধূমপান করা বন্ধ করতে হবে। এতে ঠোঁট কালো হতে থেকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন