দেশজুড়ে লকডাউন। প্রথম দিকে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ছাড় ছিল। দিন কয়েক হল, ই কমার্স সংস্থাদেরকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। সেরকমই এক সংস্থা স্ন্যাপডিল এর সমীক্ষা বলছে, ঘরবন্দি অবস্থাতে মোটেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কেনাকাটা করে ক্ষান্ত থাকেনি দেশবাসী। বরং নিয়মিত ক্রেতাদের কার্ট অথবা উইশ লিস্ট ফুলে ফেঁপে উঠেছে, হেয়ার ট্রিমার, অটোমেটিক রুটি মেকার, লুডোর মতো বিলাস সামগ্রীতে।
স্ন্যাপডিলের সমীক্ষা বলছে অনলাইন ক্রেতাদের কেনাকাটির তালিকায় গড়ে ৯টি পণ্য থাকছে। পন্যের দাম ৬৮ টাকা থেকে ১৮, ২০০ টাকার মধ্যে। দেশের অধিকাংশ ই কমার্স সংস্থা লকডাউনের প্রথম দিকে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিলেও স্ন্যাপডিল তাদের পরিষেবা চালু রেখেছিল বরাবর।
আরও পড়ুন, লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় খাবারের ছবি পোস্ট করা মানেই কি মানসিক বিকৃতি?
কেন্দ্র থেকে দিন চারেকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাইরেও ই কমার্সে ছাড় দিয়ে পরে তা তুলে নেওয়া হয় ৩ মে পর্যন্ত। অনত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে টি শার্ট, বার্মুডা, শর্টসের। ঘরে থাকার সময় ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় বাড়ির পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।
ঘরে বসে রূপচর্চার সুযোগ যেমন বেড়েছে, অন্যদিকে পার্লার না যেতে পারার ফলে বিউটি প্রোডাক্টসের ছাহিদা বেড়েছে। ৮০, ০০০ ক্রেতা হেয়ার ট্রিমার, ওয়াক্স স্ট্রিপের অর্ডার দিয়েছে। ঘরে বেশি থাকার জন্য ৩০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে ফ্লিপ ফ্লপ জুতো কেনার হিড়িক পড়েছে।
এখন পরিচারিকাদের যাতায়াত বন্ধ বলেই বাড়িতে কম বেশি সবাইকেই রাঁধতে হচ্ছে। বেড়েছে প্রেশার কুকার, রুটি মেকার, এগ বয়েলার ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা। বদলে যাওয়া যাপনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বেড়েছে পণ্যের চাহিদা। অধিকাংশ বেসরকারি ক্ষেত্রে ওয়র্ক ফ্রম হোম চলায় হেডফোন, ল্যাপটপ টেবিল, হোম প্রিন্টার, ওয়াই ফাই রাউটার, ডেটা কেবল, ইউএসবি চার্জারের চাহিদা বেড়েছে।