কথায় আছে কারর সর্বনাশ তো কারর পৌষ মাস। লকডাউনে মানব সভ্যতার ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কিন্তু প্রকৃতির মেজাজ যে এখন ফুরফুরে তা বলার বাকি রাখে না। বন্য পশু থেকে যমুনার জল এখন প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। দূষমের চাদর সরে যাওয়া, পশুকুলে নানা পরিবর্তন দেখা গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। যাঁরা এতদিন কালো ধোঁয়ার চোখ রাঙানি বেড়াজালে প্রকৃতির মাঝেই নিজেদের কোণঠাসা করে রেখেছিল। মৌমাছিদের মতো পোকামাকড়ও তাদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো নিশ্চিন্তে কাটাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে বায়ু ও শব্দ দূষণ এবং কীটনাশক-মুক্ত পরিবেশের মারাত্মক হ্রাসের কারণে মৌমাছি এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মধু সংগ্রহ করতে। কাজেই, উত্পাদনও বাড়ছে।
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প মন্ত্রকের আওতাধীন খাদি এবং গ্রামীণ শিল্প কমিশনের বিবৃতি (কেভিআইসি) অনুসারে মৌচাকের সংখ্যা এবং মৌমাছিদের স্বাস্থ্যের বিরাট উন্নতি হয়েছে। কেআইসিআইর চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা বলেছেন, “লকডাউন সময়কালে বায়ুর মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত। আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মৌমাছিদের আরও ব্যস্ত রেখেছে এবং দ্রুত সময়ে মৌচাক পূর্ণ করে তুলছে। এরআগে মৌমাছি বাক্সে সংগ্রহ মধু যে নির্দেষ্ট সময়ের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ কেজি থাকত, এখন সেই সময়ে প্রায় ৪০ কেজি মধু থাকছে।”
তিনি আরও বলেছেন, প্রায় সমস্ত মধু উত্পাদনকারী রাজ্য যেমন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং অন্যান্য অঞ্চলে এই প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে। যেহেতু এই সময়ের মধ্যে ফসলগুলিত অল্প দূষণ এবং কীটনাশকের ব্যবহার প্রায় শূন্য , মৌমাছিরা কীটনাশক-মুক্ত অমৃত এবং ফুল থেকে পরাগ সংগ্রহ করতে পেরেছে।
Read the full story in English