বাচ্চাদের জীবনে যেন একেবারেই শান্তি নেই! একেতেই স্কুলের দরজা বন্ধ এবং তারসঙ্গে বাইরে বেরনো একেবারেই নৈব নৈব চ! বন্ধুদের সঙ্গেই খেলাধুলা তেও পড়েছে স্থগিতাদেশ। এমনকি খাবার দাবারেও রয়েছে অনেক বিধি নিষেধ। যেহেতু তৃতীয় ঢেউ অনুযায়ী বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন করোনা দ্বারা, তাই ওদের স্বাস্থ্যের ওপর রাখতে হবে বিশেষ নজর।
Advertisment
প্রসঙ্গেই আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক ঐশ্বর্য সন্তোষ বলছেন অন্তত মহামারীর এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের খাবার দাবারের অনিয়ম গুলি বন্ধ করা দরকার। ওদের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। যাতে করে ওরা অভ্যন্তরীণ ভাবে অসুস্থ না হয়, সেইদিকে খেয়াল রাখতে হয়। বেশ কিছু নিয়ন এইসময় মেনে চললেই কিন্তু ভাল! তার মধ্যে,
খিদে না পেলে জোর করে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে কিন্তু পরবর্তীতে আপনিই সমস্যায় ভুগবেন। তাই এই অভ্যাস যেন আপনার শিশুর না থাকে।
একবার খাবার খাওয়ার পর ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই দ্বিতীয়বার খাবার খাওয়া খুব খারাপ। এইসময় একেবারেই অত্যধিক মাত্রায় খাওয়াদাওয়া করা উচিত নয়।
হজম করতে পারবে না এমন খাবার ওকে খাওয়াবেন না। এতে পাকস্থলীতে চাপ পড়ে যেটি খারাপ।
বাসি এবং পচা খাবার ওকে খাওয়ানো বন্ধ করুন। তাজা খাবারই খাওয়াবেন।
ভীষণ ঝাল, নোনতা এবং খাবার খেতে দেবেন না এই সময়।
চেষ্টা করবেন যেন অত্যধিক মাত্রায় না খায়। অল্প অল্প খাক তবে ক্ষতি নেই। এই দিকে একটু ধ্যান দেবেন।
একদম ঠান্ডা এবং ফ্রোজেন খাবার খাওয়াবেন না। বাইরে বের করে কিছুক্ষণ সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলেই ভাল।
খাবারের সঙ্গে খুব একটা জল যেন না খায়, কারণ অতিরিক্ত জল খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। পেট ফেঁপে যাওয়া এবং হজম না হলেই সমস্যা।
ওকে জোর করে বকা ঝকা দিয়ে খাওয়াবেন না। কিংবা তাড়াহুড়ো করেও না! যেভাবে যেটুকু পেট সহ্য করতে পারে তার বেশি নয়।
শিশুর দিকে যত্ন নিন, ওর প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন