ওজন কমাতে কতকিছুই না করেছেন, সবথেকে বড় কথা লোকের মুখে শুনে অনেক কিছু বিশ্বাস করেছেন তবে লাভের লাভ কিছুই হয় নি। আদৌ এটি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে পারছে কিনা অথবা আপনি ভালভাবে ওজন কমাতে পারছেন কিনা সেই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
Advertisment
প্রসঙ্গেই পুষ্টিবিদ নিধি গুপ্তা বলছেন, ওজন কমাতে যে ধরনের আচরণ কিংবা শারীরিক তথা মানসিক বোঝা থাকে তাতেই অর্ধেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এগুলি সহজ ভাষায় বেশ আন রিয়েলিস্টিক কাজকর্ম। সবার জন্য সবকিছু নয়। আগে নিজের শরীরকে বোঝা সবথেকে বেশি দরকার তারপরেই যেকোনও বিষয়ে তৎপরতা অবলম্বন প্রয়োজন।
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, সবসময় জীবন থেকে খাবার দাবার বাদ দিলেই হল না, বরং কোনটার বদলে কী ব্যবহার করলে আপনার লাভ হবে সেই বিষয়ে জানা দরকার। ফিটনেস পেতে গেলে অবশ্যই সাবস্টিটিউট কিছু দরকার। তাই পাঁচটি এমন পন্থা অবলম্বন করতে পারেন যেগুলি আপনার জন্য বেশ লাভদায়ক হতে পারে।
প্রথম, খাবারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা বেশি দরকার। সবসময় পারফেক্ট কিছুই খেতে হবে এমন একেবারেই নয়। মাঝে মধ্যে একটু বাইরের তেলযুক্ত খাবার খাওয়া যেতেই পারে।
দ্বিতীয়, খাবারে আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। একেবারে বাতিল নয়! নিজের পছন্দের খাবার বাদ দিতে হবে না, যেটি খেতে ইচ্ছে করছে সেটি কম করে হলেও খান। পরিমাণে কম খান।
তৃতীয়, দিনের শুরু অবশ্যই শরীরচর্চা দিয়ে শুরু করুন। বাধ্যবাধকতা নেই, অন্তত হাঁটা হোক কিংবা হালকা ব্যায়াম করতেই পারেন, যেটি করতে ইচ্ছে হয় সেটাই করুন।
চতুর্থ, সব ধরনের খাবার অবশ্যই খাওয়া উচিত। ফল থেকে প্রোটিন এবং ভিটামিন সমপরিমাণে খাবার না খেলে ওজন একেবারেই কমবে না। এবং সবথেকে বড় কথা হজম যাতে ঠিকভাবে হয় সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শেষ, এর ওর দেখে নিজেকে বিচার করবেন না। আপনার শরীরে প্রভাব কেমন পড়বে সেটি নির্ধারিত হবে দেহ বুঝেই! দরকারে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন। বেশ কিছু সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।
তাই খাবারে যেন গ্লানি না আসে! ওজন কমানো অর্থ খাবার শেষ করে দেওয়া নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন