Maha Kumbh Mela Prayagraj 2025: হিন্দু ধর্মে মকর সংক্রান্তর বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, যখন সূর্য ধনু রাশি থেকে বেরিয়ে মকর রাশিতে যায় তখন মকর সংক্রান্ত পার্বণ শুরু হয়। মাঘ মাসের শেষ দিন এই বিশেষ তিথি। এই তিথির সঙ্গেই জড়িয়ে কুম্ভ স্নান। বহু ভক্ত দলে দলে উপস্থিত হন প্রয়াগরাজে গঙ্গায় শাহী স্নানের জন্য। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস এদিন, দেবতা, দানব, কিন্নর, মানব সবাই গঙ্গাস্নানের পুণ্যলাভ করতে চান। ত্রিবেণী সঙ্গমে এদিন তাই ভক্তদের উপচে পড়ে ভিড়।
মূলত কুম্ভমেলা প্রতি ৪ বছর অন্তর আয়োজিত হয়। প্রতি ৬ বছর অন্তর হরিদ্বার এবং প্রয়াগে অর্ধকুম্ভ আয়োজিত হয়। প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিকে আয়োজিত হয় পূর্ণকুম্ভ। হিন্দু ধর্ম মতে, এই পুণ্যলগ্নে গঙ্গায় স্নান করলে পাপমোচন হয়। সেই কারণেই প্রয়াগে এত মানুষের সমাগম হয়। মকর সংক্রান্তির তিথিতে ভোর হতেই গঙ্গায় স্নান করেন পুণ্যার্থীরা। সারাদেশ তো বটেই, গোটা বিশ্ব থেকে বহু মানুষ এই কুম্ভস্নানে আসেন।
আরও পড়ুন ২০২৫ সালে মহাকুম্ভ কোথায় হবে, শাহী স্নানের পূণ্যলগ্ন কখন, জানুন তাৎপর্য এবং মাহাত্ম্য
কেন কুম্ভস্নানের সঙ্গে জড়িয়ে প্রয়াগরাজ?
সমুদ্রমন্থনের গল্পে রয়েছে, সমুদ্রমন্থনের পর দেব-বৈদ্য ধন্বন্তরি উঠে আসেন অমৃতকুম্ভ নিয়ে। দেবতারা সেই অমৃত হাতছাড়া করতে চাননি। অসুররা সেই অমৃত পান করলে অনর্থ হয়ে যেত। সেই অমৃতকুম্ভ যাতে দেবতাদের হাতছাড়া না হয় সেই কারণে ইন্দ্রপুত্র জয়ন্তের উপর দায়িত্ব ন্যস্ত হয়। তিনি অমৃতকুম্ভ নিয়ে ছুটতে থাকেন। ছুটতে ছুটতে এসে তিনি নাকি একটু জিরিয়ে নিয়েছিলেন।
কথিত আছে, কুম্ভ নিয়ে পালানোর সময় জয়ন্ত হরিদ্বার, প্রয়াগ, নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। অমৃতকুম্ভ নামিয়ে রেখে এই স্থানগুলিতে বিশ্রাম নিয়েছিলেন তিনি। তাই জায়গাগুলির পৌরাণিক মাহাত্ম্য রয়েছে। কুম্ভ নামানোর সময় কয়েক ফোঁটা অমৃত পড়েছিল হরিদ্বার এবং প্রয়াগে। তাই দুই দেবস্থানের মাহাত্ম্যই আলাদা। এখানে কুম্ভস্নান করলে পুণ্যার্থীরা পাপমুক্ত হন।