মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট বম্বে হাইকোর্টের সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে যেতে অস্বীকার করল। মহারাষ্ট্রের বনদপ্তর পান্ধারখোওদা ফরেস্টে মানুষখেকো বাঘিনীকে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছিল। বম্বে হাইকোর্ট এই সিন্ধান্তে সহমত পোষণ করে। এদিন শীর্ষ আদালতও সেই একই সিন্ধান্ত বলবৎ রাখল। প্রসঙ্গত, ইয়াভাতমাল জেলার রালেগাঁও বনাঞ্চলে বাঘিনীর আক্রমণে নয় জনের প্রাণ গেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিচারক মদন বি লকুর ও দীপক গুপ্তার বেঞ্চ একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা আর্থ ব্রিগেড ফাউন্ডেশনের শুট অ্যাট সাইটের বিরুদ্ধে করা মামলায় বনদপ্তরের পক্ষেই রায় দিল। ৬ সেপ্টেম্বর নাগপুর বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে যায় ওই সংস্থা। একটি ছয় বছরের বাঘিনীকে মানুষখেকো হিসাবে চিহ্নিত করেছে বনদপ্তর। নয় মাসের দুটি বাচ্চা সহ তার তিন শিকারের ষাট শতাংশ মৃতদেহ খেয়ে ফেলেছে ওই বাঘিনী। এর জেরে তাকে মানুষখেকো বলে চিহ্নিত করেছে বনদপ্তর।
তবে প্রশ্ন উঠছে, যে বাঘিনী গতমাসেই তিনজনকে মেরে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগেই যদি তার উপর ঘুম পাড়ানি গুলি চালানো হত, বা মেরে ফেলা হত তাহলে তার দায়ভার কার ওপর বর্তাত? শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা পিটিশন শুনে তরপরেই বনদপ্তরকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। বনদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই বাঘিনী এবং তার দুই শাবক ইতিমধ্যেই নয় জনের প্রাণ নিয়েছে। এরপরেই সরকারিভাবে তাকে মানুষখেকো বলে চিহ্নিত করা হয়।
আবেদনকারীদের দাবী, গত এক মাসে যে তিনটি মৃত্যুর ঘটনা সংরক্ষিত এলাকায় ঘটেছে, তা বাঘের স্বাভাবিক বিচরণ এলাকার মধ্যেই পড়ে। আবেদন কারীদের আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার বলেন, ''যদি কোনও মানুষ জঙ্গলে প্রবেশ করে তাহলে তার বাঘের হাতে মৃত্যু হবে। সে জন্য বাঘটিকে মানুষখেকো বলা যায়না''। তিনি আরও বলেন, ''বাঘের মানুষকে মেরে ফেলা আর মানুষখেকো বাঘের মধ্যে তফাৎ রয়েছে'''।