অত্যধিক গরম পরেছে, চারিদিকে খা খা রোদ। যথারীতি সবার ব্যাগে হোক কিংবা সঙ্গে জলের বোতল ছাড়া যেন বাঁচা দায়। গরমে প্রয়োজনের বেশি জল খেলেও একেবারেই সমস্যা নেই। এই সময় ঘাম বেশি হয়, শরীর সহজে শুকিয়ে যায় তাই জল ছাড়া সম্ভব নয় একদম। কিন্তু জল খেলেই হল না, সঠিক সময়ে একে পান করার গুরুত্ব সম্পর্কে সকলের জানা দরকার। যেমন?
Advertisment
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দের মতামত, প্রাচীন শিক্ষা কিংবা আয়ুর্বেদ সবসময় জল সঠিক ভাবে এবং সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত। নজর রাখা উচিত তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও, অর্থাৎ উষ্ণ জল কিংবা ঘরের তাপমাত্রায় রাখা জল সবথেকে বেশি উপকারী, বলা উচিত ঠান্ডা বরফ জল একেবারেই শরীরে পক্ষে ভাল নয়। এই জল থেকে শরীরে স্থূলতা, রুক্ষভাব এগুলি চাগাড় দিতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ জল পান করলে কিন্তু অনেক সুবিধা পাওয়া যায়, আগে জেনে নেওয়া যাক দিনের কোন সময়গুলিতে বিশেষ করে জল খাওয়া খুব দরকারঃ সকালে ঘুম থেকে উঠেই একগ্লাস জল খালিপেটে, স্নানের আগে ঠাণ্ডা জল, রাত্রিবেলা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর। এবার দেখা যাক এর উপকারীতা গুলি কী কী,
প্রথম, অত্যধিক মাত্রায় ব্লাড প্রেসারের মাত্রা কম করতে পারে। ভুল সময়ে জল খাবেন না এতে মুশকিল। শরীরে অগ্নির ভাব কম হলে কিন্তু খাবার হজম হয় না।
দ্বিতীয়, সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক পরিমাণে জল খেলে স্কিন, চুল তথা নখের মধ্যে এক নিজস্ব চকচকে ভাব দেখা যায়। এর থেকে শরীরের নানা ঘাটতি কমে যায়।
তৃতীয়, জল শরীরে শুকিয়ে যাওয়ার পরিমাণ কমায়। এর থেকে হাইড্রেসন যেমন বজায় থাকে তেমনই ময়েশ্চারের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। শুষ্ক ভাব কমে, নতুন করে দৈহিক কোষগুলি প্রাণ পেতে শুরু করে। গরমে গা গোলানো, বমি ভাব এগুলি কমে যায়।
চতুর্থ, গরমে সকলের দৈহিক তাপমাত্রা একটু হলেও বেশি থাকে, জল সঠিক সময় পান করলে দেহের সেই অত্যধিক গরম ভাব কমে যায়।
পঞ্চম, অত্যধিক ওজন নিয়ে চিন্তিত? নাকি খাবার সহজে হজম হয় না। এটি মেটাবোলিজম ঘাটতি দুর করে সঙ্গেই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভাল ফল দিতে পারে।
ষষ্ঠ, গ্যাস অম্বলের সমস্যা যেমন দুর করে তেমনই, পেটে অস্বস্তি, ব্যথা এগুলিও হ্রাস করতে পারে। শরীরের যত টক্সিন যেন নুত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায় সেইদিকে খেয়াল রাখে। অন্তত গরম নুন চিনি দিয়ে জল খাওয়ার অভ্যাস করুন, এতে শরীর সুস্থ থাকে। পারলে বাড়ি থেকে নিয়ে বেরন এটি বেশ ভাল কাজ করে।