Advertisment

Happy New Year 2019: কচি হাতে তৈরি ৬ ফুটের গ্রিটিংস কার্ডই এবার মমতার নববর্ষের উপহার

New Year 2018 Messages, Quotes & Wishes in Bengali: প্রায় ১৫০ জন কচিকাঁচার হাতে গড়া এই অভিনব কার্ডে থাকছে ২০১৯ জন শিশুর স্বাক্ষর। সেই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ কার্ডই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবে শহরের একটি ক্লাব।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
greetings card, গ্রিটিংস কার্ড

Happy New Year 2018 Quotes in Bengali: গ্রিটিংস কার্ড তৈরিতে ব্যস্ত শিশুরা।

New Year Greeting, Wishes & Messages in Bangla: একগাদা রং-পেনসিল। কারও হাতে লাল রং, তো কারও হাতে সবুজ। গোল হয়ে বসে ওরা। কোনওদিকে তাকানোর ফুরসত নেই। নতুন বছরে ওদের ‘আদরের’ মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেবে যে ওরা। হাতে সময়ও তো বেশি নেই। দু’দিন বাদেই ইংরেজি নববর্ষ। ওদের হাতেই গড়ে উঠছে নতুন বছরের বিশালাকার গ্রিটিংস কার্ড। যেটি লম্বায় ৬ ফুট, চওড়ায় ৩ ফুট। প্রায় ১৫০ জন কচিকাঁচার হাতে গড়া এই অভিনব কার্ডে থাকছে ২০১৯ জন শিশুর স্বাক্ষর। সেই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ কার্ডই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবে শহরের একটি ক্লাব। যে কার্ডের থিম আবার ‘এগিয়ে বাংলা’।

Advertisment

সেই গ্রিটিংস কার্ড। সেই গ্রিটিংস কার্ড।

উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙা ছাত্র যুব মিলন সমিতির উদ্যোগেই এই কার্ড তৈরি করা হয়েছে। ক্লাবের আহ্বায়ক রবি পাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বললেন, "দশ-বারো দিন ধরে কার্ড বানানোর কাজ চলেছে। প্রায় ১৫০ জন শিশু এই কার্ডে এঁকেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন পথশিশুও। ওদের গাইড করা হয়েছে কীভাবে আঁকবে, শিক্ষকরাও রয়েছেন। ২০১৯ সালকে স্বাগত জানাতে আমরা ২০১৯ জন বাচ্চাকে দিয়ে স্বাক্ষর করাব। তারপরই কার্ডটি নতুন বছরের উপহার হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে দেব।" ২০১৯ জন শিশুর স্বাক্ষর কেন? রবিবাবুর কথায়, "বাচ্চাদের স্বাক্ষর থাকলে ওরা খুশি হবে এই ভেবে যে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার স্বাক্ষর রয়েছে।"

greetings card, গ্রিটিংস কার্ড এই অভিনব গ্রিটিংস কার্ডে থাকছে ২০১৯ জন শিশুর স্বাক্ষর

আরও পড়ুন: অফিসে ঋতুকালীন ছুটি, মহিলাকর্মীদের পাশে কলকাতার সংস্থা

মুখ্যমন্ত্রীর উপহার বলে কথা, তাই কার্ডে চমক থাকছে অনেক। এ প্রসঙ্গে রবিবাবু জানালেন, "বিশাল বড় কার্ড বানানো হয়েছে, যার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট, প্রস্থ ৩ ফুট। কার্ডে বাচ্চারা অনেক কিছু এঁকেছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অবয়ব আঁকা হয়েছে। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী প্রকল্পের ছবি এঁকেছে বাচ্চারা।" কেন এমন থিম? রবিবাবুর জবাব, "দিদি যেভাবে বাংলার উন্নয়ন করছেন, তা তুলে ধরার জন্য এমন উদ্যোগ নিলাম। দিদির এই প্রকল্পগুলো বাচ্চারা এঁকেছে, সেই কার্ড দেখলে দিদি খুশি হবেন।"

মমতার হাতে কবে পৌঁছবে এই কার্ড? জবাবে ক্লাবের আহ্বায়ক বললেন, "শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। বাচ্চাদের দিয়ে স্বাক্ষর করাব। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চাইব, কবে উনি দেখা করবেন। সেই মতো আমরা বাচ্চাদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে কার্ড তুলে দেব। আশা করব, উনি আমাদের এই উপহার ফেরাবেন না।"

kolkata news Mamata Banerjee
Advertisment