Advertisment

Mamata-Chanakya-Modi: সত্যিটা ধরে ফেলেছেন, বাজেটে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সংসদে প্রধানমন্ত্রী

Modi: বাজেটে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য নানা উন্নয়নের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতাও বাড়িয়েছেন। সংসদে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য কিছুই করেনি।

IE Bangla Web Desk এবং Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Mamata, Modi

Mamata-Modi: Electoral Bond-Oppositions: বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার শিল্প সংস্থাগুলোর স্বার্থে কাজ করছে। (ছবি- এক্সপ্রেস)

Mamata-Modi: লোকসভা নির্বাচনের আগে পেশ হওয়া এবারের বাজেটে রীতিমতো দরাজ মুখ্যমন্ত্রী। ডিএ আন্দোলনকারীদের আশা যেমন তিনি কিছুটা হলেও পূরণ করলেন। তেমনই পূরণ করলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধির আশাও। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জোর দিলেন সিভিক ভলান্টিয়ারের ভাতা বৃদ্ধির ওপর। এই সব দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরেই উঠছিল।

Advertisment

বর্তমান সময়ে বাজারে জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাত্র ৫০০ টাকায় কী হয়? এই প্রশ্ন বারবার তুলছিল বিরোধী দল বিজেপি। শুধু তাই নয়, সমাজের সাধারণ মানুষজনও বারবার প্রশ্ন তুলছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতার পরিমাণ নিয়ে। আর, সেসব যেন কান পেতে শুনেই ভোটের আগে রীতিমতো দরাজহস্ত হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি কর্মশ্রী প্রকল্পও চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন।

বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছিলেন, বাংলায় বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। সেই অভিযোগ দূর করতেই মুখ্যমন্ত্রী যেন বেছে নিলেন এই কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প। এমনিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু, সেই প্রকল্পের অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যেই উঠেছে বেকারত্ব বৃদ্ধির অভিযোগ। সেসব মাথায় রেখেই সাপও মরল না। আবার লাঠিও ভাঙল না গোছের প্রকল্প 'কর্মশ্রী' চালু করার কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।

Mamata। Chanakya। Modi
Mamata Chanakya Niti: চাণক্য আজও রাজনীতিবিদদের পথ দেখিয়ে চলেছেন। (ছবি- ফেসবুক)

একইসঙ্গে তিনি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মৎসজীবীদের কথা মাথায় রেখে 'সমুদ্রসাথী' প্রকল্প চালু করার কথাও ঘোষণা করেছেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সংসদে সম্ভবত তাঁর শেষ বক্তব্য পেশ করে ফেলেছেন। যে বক্তব্যের মুখ্য বিষয় ছিল উন্নয়ন এবং দরিদ্র শ্রেণির অগ্রগতি। পাশাপাশি, বিরোধীদের এই ইস্যুতে কোণঠাসা করতে তীব্র সমালোচনার রাস্তায় হেঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রেও বিষয় হিসেবে নরেন্দ্র মোদী বেছে নিয়েছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন বিরোধী দল কংগ্রেস সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে বঞ্চনা করেছে।

আরও পড়ুন- লক্ষ্য, ক্ষমতায় থাকার হ্যাটট্রিক! ফের মোদীর নিশানায় কংগ্রেস

মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী যেন এভাবেই বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা আসল সত্যিটা ধরে ফেলেছেন। যে সত্যিটা বলে গিয়েছেন কৌটিল্য চাণক্য। মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তর গুরু চাণক্য বলে গিয়েছেন, 'অবিদ্যং জীবনং শূন্যং, দিকশূন্যা চেদবান্ধবা। পুত্রহীনং গৃহং শূন্যং, সর্বশূন্যা দরিদ্রতা।' যার অর্থ হল- বিদ্যাহীন জীবন শূন্য। বন্ধুবিহীন জীবন শূন্য। পুত্রহীন গৃহ শূন্য। আর, দরিদ্র মানুষের কাছে সবই শূন্য।

Modi Government Mamata Government Chanakya Niti Bakya
Advertisment