ষষ্ঠীর সন্ধ্যা। প্রত্যাশামতোই কলকাতার রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা নেই। মন্ডপে মন্ডপে ঢল নেমেছে মানুষের। বয়সের বেড়াজাল ভেঙে পুজোর আনন্দে মাতোয়াড়া শহর কলকাতা এবং জেলা থেকে আসা মানুষ।
পুজোর ভিড়ে পথ চলতে চলতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র সঙ্গে কথা বলে নিলেন দুই তরুণী। শুনে নিন ওঁদের কথা-
উত্তর কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো- কলেজ স্কোয়্যার। আলো-প্রতিমা-জলাশয় এই তিন বিশেষত্ব বরাবরই পৃথক পরিচিতি দিয়ে এসেছে এই পুজোকে। কোনও প্রচার ছাড়াই বছরের পর বছর মানুষ আসেন এই মন্ডপে, এবারও ব্যতিক্রম নয়।-
কলেজ স্কোয়্যারের ঝাড়বাতি। ছবি- সৌরদীপ সামন্ত।
এদিকে, বাবা-মার হাত ধরে পুজো দেখতে বেরিয়েছে অসংখ্য শিশু। কলেজ স্কোয়্যারের সামনে দেখা হলে গেল তেমনই এক খুদের সঙ্গে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় তার ঠিক কী প্ল্যান, সেকথা জানিয়েও দিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে
শহরের বড় পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ। অসাধারণ প্যান্ডেল, প্রতিমার পাশাপাশি এই পুজোর এ বছরের মূল আকর্ষণ 'লাইভ মিউজিক'। আর সেই সঙ্গীতের তালে তালে মেতে উঠছেন দর্শনার্থী থেকে স্থানীয়রা সকলেই।
তবে থিমের পুজোর জনপ্রিয়তার মধ্যেও, বাগবাজার সার্বজনীনের জনস্রোত অন্যান্য বারের মতোই এবারও একই রকম। সাবেকি সাজের মাতৃ প্রতিমা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা।-
বাগবাজার সার্বজনীনের প্রতিমা। ছবি- সৌরদীপ সামন্ত।
শহরের ছোট-বড় সব মন্ডপেই মানুষের ভিড়। উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে বড় পুজোগুলিতে রীতিমতো জনজোয়ার। তবে পিছিয়ে নেই সল্টলেক এবং জেলার পুজোগুলিও। সেখানেও প্রাণের আনন্দে পথে নেমেছে সব বয়সের মানুষ।
এরই মধ্যে শহর কলকাতায় ষষ্ঠীর বিকালে আগুন লেগেছে এক রাসায়নিক কারখানায়। ট্যাংরা এলাকার ওই কারখথানাটিতে বিকাল ৫টা ২৩ মিলনিটে আগুন লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে আসেনি। শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।