নতুন ইংরেজি বছর পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন ধর্মের নিজস্ব দিনক্ষণের খোঁজ। বর্তমান সময়ে ভারতীয়রা ইংরেজি বছরকেই বেশি গুরুত্ব দেন। প্রত্যেক ধর্মের নিজস্ব ক্যালেন্ডার থাকলেও, তা অত গুরুত্ব পায় না। উলটে, ইংরেজি ক্যালেন্ডার ধরেই নিজের ধর্মের বিশেষ দিনকে চিহ্নিত করে রাখেন মানুষজন। তার মধ্যেই হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন মৌনি অমাবস্যা কবে?
কী এই মৌনি অমাবস্যা?
হিন্দু শাস্ত্রমতে, মাঘ মাসের অমাবস্যাকে বলা হয় মাঘী অমাবস্যা বা মৌনি অমাবস্যা। অনেকে একে মৌন অমাবস্যাও বলেন। অনেকে একে দর্শা অমাবস্যাও বলে থাকেন।
এর নাম মৌনি অমাবস্যা কেন?
মৌন শব্দের অর্থ হল চুপ করে থাকা বা নীরব থাকা। পুরাণ অনুযায়ী মৌনি অমাবস্যায় ঋষি মনুর জন্ম হয়েছিল। দ্বাপর যুগ নাকি এই দিন থেকেই শুরু হয়েছিল
এবছর মৌনি অমাবস্যার তারিখ কবে?
এবছর মৌনি অমাবস্যা পড়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি। যার তিথি শুরু হবে ভোর ৩ টে ৩২ মিনিটে। তিথি থাকবে রাত ১১টা ৫৮ পর্যন্ত।
মৌনি অমাবস্যা পালনে কী লাভ?
মৌনি অমাবস্যা পালনে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি, রোগমুক্তি ঘটে। অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্যলাভ হয়। গঙ্গায় স্নান করলে অমৃত স্নানে ফল মেলে, আর সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়।
কীভাবে পালন করতে হয় মৌনী অমাবস্যা?
এই তিথিতে তিল, তেল, কম্বল, কাপড় আর ধনে দান করতে হয়। নদীতে বা তীর্থে গিয়ে স্নান করেন পুণ্যার্থীরা। ভক্তদের অনেকেই উপবাস থেকে ধ্যান করেন। পাশাপাশি, মৌনতা অবলম্বন করেন।
আরও পড়ুন- চাণক্যের নীতিবাক্য মানেননি হরি সিং-আবদুল্লারা, সেই কারণেই উপত্যকার এই হাল?
মৌনি অমাবস্যায় কেন তীর্থ স্নানের কথা এসেছে?
কথিত আছে, দেবতা ও অসুররা একসঙ্গে সমুদ্রমন্থন করেছিলেন। তারপর ভগবান ধন্বন্তরী অমৃতের কলস নিয়ে সমুদ্র থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। অমৃত কলস পাওয়ার জন্য দেবতা ও অসুরদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল। দুই পক্ষের টানাটানিতে, কলস থেকে অমৃতের কয়েক ফোঁটা প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিকে গঙ্গা নদীতে পড়েছিল। সেখান থেকেই এসেছে মৌনি অমাবস্যায় তীর্থস্নান বা গঙ্গাস্নানের প্রসঙ্গ।