কোভিড উপসর্গ নিয়ে চারিদিকে সমস্যার পরিস্থিতি। আদৌ কোনটি এর লক্ষণ আর কোনটি নয় সেই নিয়ে দ্বন্দ্বে চিকিৎসকরা। প্রথম থেকেই জানা যাচ্ছিল যে, ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে নাকি মৃদু উপসর্গই সম্ভব। তবে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে মিলেছে অন্য নির্দেশনা। তাদের মতে, বেশিরভাগ মানুষই এর কারণে জর্জরিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারা ভয়ানক ভাবে আক্রান্ত এবং হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হচ্ছেন। ভারতের বুকে এর রেশ কম তবে করোনা ভাইরাস এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর প্রভাবে অসুস্থতার পারদ ক্রমশ উঠছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন মানুষের মধ্যে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে যেটি ওমিক্রনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাড়িতেই বেশিরভাগ মানুষ রয়েছেন তবে করোনা পরবর্তীতে মানুষের শরীরে অনেকরকম সমস্যা দেখা দেয় এবং শোনা যাচ্ছে এমনই মৃদু উপসর্গের অর্থই শরীরে করোনা রেশ বেশি থাকা।
আসলেই কী সত্যি? গবেষণা কী বলছে?
কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর সবথেকে বেশি গ্রাস করে দুর্বলতা এবং খাওয়ার গাফিলতি, এই সময় একেবারেই খিদে থাকে না। লং কোভিড তাকেই বলা হয়, যখন কম করে একমাসের বেশি কোনও মানুষ শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করেন। নেগেটিভ আসার পরেও তাদের শরীর একেবারেই সঙ্গ দেয় না। সেই থেকেও অলসতা, হাতে পায়ে অসাড় ভাব এগুলি খুব স্বাভাবিক বিষয়।
পূর্বে জানা গিয়েছিল যে, করোনা আক্রান্ত মানুষেরা বিভিন্ন ভাবে ভুগেছেন। নয়তো বড় কোনও ক্ষতি, এর তীব্র আক্রমণে অর্গান ড্যামেজ হয়েছে এমন হদিশ মিলেছে। আর নয়তো চুপিসারেই মানুষের ক্ষতি হয়ে গেছে - বিশেষ করে হার্টের সমস্যা এবং ফুসফুসের সমস্যায় মানুষের জীবন জর্জরিত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন শুধু মৃদু উপসর্গ হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না এমন বিষয় নয়, বরং এর থেকে ভবিষ্যতে ভোগার বিষয়টিকেও বারবার উল্লেখ করছেন তারা। চোরা রোগ শরীরে থাকা খুব সমস্যা দায়ক।
চিকিৎসকরা কী জানাচ্ছেন?
তাদের মতে যে ভ্যারিয়েন্ট দ্বারাই মানুষ আক্রান্ত হোক না কেন, তাতে অল্প বেশি উপসর্গ থাকবেই। এবং মানুষকে সেই সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সেই সময় ভাল খাওয়াদাওয়া করতে হবে। সবথেকে বড় কথা যেকোনও ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা ৩০% পর্যন্ত এফেক্ট হওয়া স্বাভাবিক এবং সেই বিষয়টিকেই উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যেন সুস্থ বোধ করার পরবর্তীতে ফুল বডি চেকআপ করানো হয়। বিশেষ করে সুগার প্রেসার এবং হার্টের সমস্যা। শুধুই ওমিক্রন নয় ডেল্টার প্রভাবে লং কোভিড হতেই পারে - এমনই বক্তব্য মার্কিন মুলুকের চিকিৎসকদের।
মৃদু উপসর্গ কেমন হতে পারে?
হালকা জ্বর, গলা খুসখুস এবং বমি ভাব - মৃদু উপসর্গের মধ্যে এই তিনটিই শনাক্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গেই যদি গলা ব্যথা, রাত্রে ঘাম এবং খিদে কমে গিয়ে থাকে তবে সেটি ওমিক্রন সংক্রমণ। সেই সময় থেকেই সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবং পরবর্তীতে স্বল্প মাত্রায় খিদে কমে যাওয়া, অলসতা এবং দুর্বলতা, মানসিক অশান্তির কারণেও মানুষ ভুগতে পারেন বলেই জানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন