বিশ্বমঞ্চে আবারও উজ্জ্বল ভারত। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা উঠল ভারতের হারনাজ সান্ধুর মাথায়। ইজরায়েলের এইলাতে ৭৯ দেশের সুন্দরীকে পিছনে ফেলে তাক লাগিয়েছেন চণ্ডীগড়ের মেয়ে হারনাজ। এর আগে ১৯৯৪ ও ২০০০ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছিলেন সুস্মিতা সেন ও লরা দত্ত। তারপর ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ২১ বছরের অপেক্ষা, শেষ পর্যন্ত খরা কাটলো হারনাজ সান্ধুর সাফল্যে।
Advertisment
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে প্যারাগুয়ের নাদিয়া ফেরিয়া এবং মিস সাউথ আফ্রিকা লালেলা মেসওয়ান।
সোনালি স্লিভলেস গাউনে প্রতিযোগিতার মঞ্চে এ দিন ঝলমল করছিলেন হারনাজ। শেষ পর্বে তাঁকে বিচারকরা জিজ্ঞাসা করেন, 'বর্তমানে মহিলাদের যে চাপের সম্মুখীন হতে হয় তা কীভাবে মোকাবিলার জন্য আপনি তররণীদের কী পরামর্শ দেবেন?' আর এই প্রশ্নের জবাবেই বাজিমাত করেছেন ভারতের এই কন্যা।
হারনাজ সান্ধু বলেছেন, 'আমি অনন্য এবং সেই গুণেই আমি সুন্দর, আজকের যুব প্রজন্ম এই বিশ্বাস নিজের উপর রাখতে পারছে না। নিজে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। বিশ্বজুড়ে ঘটমান নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর চর্চা করতে হবে। এটা ভালো করে বুঝতে হবে। কোনও ব্যক্তি তাঁর নিজের জীবনের নেতা, তাই নিজেকে আড়ালে না রেখে নিজের কথা সোচ্চারে বলতে হবে। আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস আছে, তাই আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি।'
এর আগের পাঁচ পর্বে হারনাজ সান্ধুকে বিচারকদের জিজ্ঞাস্য ছিল যে, 'আবহাওয়া পরিবর্তন একটি ভাঁতার বিষয়, অন্যভাবে তাঁদের বোঝাতে আপনি কী বলবেন?' ভারত-কন্যা বলেছিলেন যে, 'প্রকৃতি বহু সমস্যার সম্মুখীন, এর কারণ আমাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। এটা ভাবলেই আমার মন ভেঙে যায়। আমি বিশ্বাস করি যে, এটা কম কথা বলে কাজ করার সময়। মনে রাখতে হবে, আমাদের প্রতি পদক্ষেপ হয় পরিবেশকে বাঁচাবে, নয়তো ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। অনুতাপ এবং ক্ষতিপূরণের চেয়ে প্রতিরোধ এবং রক্ষা করা ভালো এবং এটিই আমি সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করবো।'
হারনাজের মাথায় এদিন মুকুট পরিয়ে দেন ২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেজা।
ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী হয়ে এ দিন উচ্ছ্বাসিত চণ্ডীগড়ের হারনাজ সান্ধু। আনন্দে তিনি চেঁচিয়ে উঠেছেন 'চাক দে ফট্টে'
ধ্বনিতে।
দীর্ঘদিন ধরেই গ্ল্যামার দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত ২১ বছরের হারনাজ সান্ধু। গতবার জিতেছিলেন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স খেতাব। একাধিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সেরার মুকুটও তাঁর দখলে। এছাড়াও পাঞ্জাবি রূপোলি পর্দাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।