Advertisment

মিশ্রিত ডোজ একেবারেই চলবে না! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

এই বিষয়ে কী মতামত দিচ্ছেন তাঁরা? জানুন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

Mixed dose and vaccine: বহুদিন ধরেই বুস্টার ডোজ নিয়ে চারিদিকে নানান গুঞ্জন। কেউ বলছেন এম রেনা ভ্যাকসিন তো কেউ বলছেন ভারতের নিজস্ব প্রিকওশন ডোজ - তবে ষাট ঊর্ধ্ব বয়সের মানুষদের জন্য অবশেষে প্রিকওশন ডোজ ধার্য করা হয়েছে। জানান হচ্ছিল দুটি ভ্যাকসিনের মিলিত ভার্সন নাকি একেবারেই ওমিক্রন রোধ করতে সক্ষম। সেই অনুযায়ী ভাবনা চিন্তাও করা হচ্ছিল, তবে এবার চিকিৎসকদের সাফ মতামত একেবারেই ডোজ কিংবা ওষুধ মেশানো যাবে না। 

Advertisment

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একেবারেই কোনও মিশ্রণ নয় বরং একই ওষুধের ডোজ মিলবে বুস্টার হিসেবে। চিকিৎসক ভিকে পাল বলছেন, ভ্যাকসিন মেশানোর কোনও প্রশ্নই উঠছে না। এমনকি তাদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকেও এমন কোনও বক্তব্য আসেনি। অর্থাৎ যারা কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন তারা এর একটি ডোজ পাবেন এবং যারা কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন তারা এর একটি ডোজ পাবেন। তবে বিশেষ করে ব্লাড সুগার কিংবা ডায়াবেটিস অথবা অন্যান্য সহ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আগে ভ্যাকসিন পাবেন। 

কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? 

মোটামুটি ওই ডোজ গুলি ছাড়াও, zycov-D, corbevax এবং covovax এগুলি পরবর্তীকালে নির্ধারিত তবে এখনই নয়। চিকিৎসক শুচিন বাজাজ বলছেন, মানুষ এখন রোগের সঙ্গে লড়তে শিখে গেছেন। পরবর্তীতে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ক্রমশই বাড়বে এবং সকল ভ্যাকসিন কেই বুস্টার হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হবে। 

চিকিৎসক সুলাইমান লাধানি বলছেন, একই ভ্যাকসিন বুস্টার হিসেবে ভাল কারণ এটি নিউরোজেনিক প্রভাব হিসেবে বেশ কার্যকরী। নির্দিষ্ট সময়ের পর দেওয়া হলে ভালই অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে- সময় লাগে নয় থেকে বারো মাস। 

মিশ্র ভ্যাকসিন আদৌ দেওয়া সম্ভব কিনা সেই নিয়ে পরীক্ষা করা দরকার। একেতেই সীমিত ভ্যাকসিনের পরিমাণ তারপরে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই এমন সময় এটি না করাই ভাল। বরং পরবর্তীতে গবেষণার পরেও এই কাজ করলে চলবে। অন্যান্য দেশে মিশ্র ভ্যাকসিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

স্বল্প গবেষণায় কী জানা গেছে? 

চিকিৎসক শালিমার বাগ বলেছিলেন, ভ্যাকসিনের শট মিশিয়ে প্রভাব কেমন হচ্ছে সেই নিয়ে অনেকেই গবেষণায় রত। আদৌ এটি গ্রহণ করলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে নাকি কমবে সেই নিয়েও অনেক জানা প্রয়োজন। অ্যান্টিবডি তৈরির দিকেও বারবার ধ্যান দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং এই বিষয়ে এখনই কোনও সুরাহা মেলেনি। 

চিকিৎসক বাজাজের মতে ভারতের বুকে এখনও কেউ এমন নেই, যে ভিন্ন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাই তৃতীয় ডোজ হিসেবে কী নেবেন সেই প্রসঙ্গেও কোনও গাফিলতি নেই। 

বুস্টার কীভাবে শরীরে কাজ করে? 

আসলেই এটি নতুন করে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। যখনই এর মাত্রা কমে যায়, সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে তখনই এটি শরীরে দরকার হয়। জানা যাচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের নয় মাস পরেই এটিকে গ্রহণ করা যাবে। এছাড়াও অন্যান্য ইনফেকশন কমাতে পারে। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Booster Dose coronavirus Vaccination Mixed Dose health
Advertisment