Advertisment

লকডাউনে ওঁরা যেন শুধু মা নন, দুগ্গা মা!

বাড়ির কাজ সবার সমান ভাবে করার চুক্তি থাকলেও রোজ রোজ চুক্তি ভাঙছে কোন মানুষটার প্রশ্রয়ে। বাড়ির কাজ একলাফে কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার পরেও কার আশকারাতে সকাল হচ্ছে দেরি করে? 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পথের পাঁচালি ছবির দ্শ্যে অপু-দুর্গা-সর্বজয়া

আচ্ছা, আমাদের জীবনে মায়েদের কী অবদান, সেসব আলাদা করে বলা হবে আজ গোটা দিন ধরে, বারবার করে। কারণ আজ যে মায়েদের দিন। হ্যাঁ আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস। কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি, শেষ দেড়টা মাস সুপারমমের রোলে কেমন দিব্যি ফিট করে গেলেন আটপৌরে মায়েরা। দেখিনি বোধহয়, কারণ ওভাবেই চোখ সয়ে গেছে। ভেবে দেখিনি, এই অন্ধকার সময়টাকে সহজ ভাবে দেখতে পাচ্ছি এই সুপারমমেদের জন্য। মাদার্স ডে-তে একবার ফিরে দেখাই যায়।

Advertisment

হরেক রকম বায়নাক্কার ঝক্কি সামলানো

'সক্কাল সক্কাল এতটা মাখন দিয়ে ব্রেড খাওয়া যায় নাকি?', কিমবা 'বিকেলের স্ন্যাক্সের পর আমার কিন্তু দু'কাপ কফি চাই। বাবা যেন জানতে না পারে'- শেষ দেড়টা মাস এসব কেমন অনায়াসে হয়ে আসছে তো। বাবারা জানতে পারছে না। কার জন্য? বাড়ির কাজ সবার সমান ভাবে করার চুক্তি থাকলেও রোজ রোজ চুক্তি ভাঙছে কোন মানুষটার প্রশ্রয়ে। বাড়ির কাজ একলাফে কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার পরেও কার আশকারাতে সকাল হচ্ছে দেরি করে?

লকডাউনে নিজেই লক্ষ্মী, নিজেই দুর্গা

পাছে পরের সপ্তাহ থেকে বাজার বন্ধ হয়, এই ভয়ে তো বাড়ির লোকেরা গোটা বাজারটাই তুলে আনতে চায় ঘরে! রান্নাঘরের খোপে খোপে কে রিজার্ভে রেখে রেখে একটু একটু করে খরচ করছে। সুইগি, জোম্যাটোর ডেলিভারি বাটন প্রেস করার ঠিক আগের মুহূর্তে কেউ একটা হাতটা সরিয়ে দিচ্ছে না মোবাইল স্ক্রিন থেকে? মানুষটা না থাকলে লকডাউনের বাজারে সাশ্রয় হতো?

বাবা, ভাই-বোনের মাঝে বাফার হচ্ছে কে

কখনও বাবার সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সংঘাত, কখনও ভাই বোনের মধ্যে খুনসুটি ঝগড়াঝাঁটি, কখনও আবার জীবনসঙ্গীর অকারণ মেজাজ দেখানো, সব মুস্কিল আশানের জন্য একজনই তো আছে। যাবতীয় যত মুড সুইং-এর হ্যাপা সামলাতে হয় তাঁকেই। ঝগড়াঝাঁটি কিমবা মান অভিমানের যাবতীয় অভিমানের অভিমুখ আবার বেঁকে গিয়ে ধাওয়া করবে তাঁকেই।

অন্য মায়েরা, স্যালুট তোমাদেরও

লকডাউনে যে সব মায়েরাই বাড়ি বসে, তা কিন্তু না। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মায়েরা, তোমাদের সন্তানেরা এই ঘরবন্দি থাকার দিনেও তোমাদের নরম আঁচল পেলো না, ঘেমো গায়ে লেপটে থাকতে পারল না কুচোগুলো। ওমা তাই বলে চোখ ছলছল! ওরা ঠিক বুঝে নেবে এই মন কেমন করা সময়ে তোমার শুধু অদের নও, আরো কত্ত কত্তজনের মা। নিতান্তই রুটি রুজির টানে বাড়ির বাইরে বেরোতে বাধ্য হলে যে মায়েরা, জেনো তোমাদের সন্তান একদিন ঠিক সম্মান করতে শিখবে তাঁদের মায়ের পেশাকে। উনুনে ভাতের গন্ধ এলে তোমাদের মুখ ঠিক মনে পড়বে সবচেয়ে আগে, দেখে নিও।

Mother’s Day
Advertisment