Advertisment

বর্ষায় চুলের সমস্যায় জেরবার? এই টিপসগুলো জানলে আর ভুগতে হবে না

বর্ষায় মজবুত চুলের রহস্য কী? জেনে নিন এক্ষুণি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hair fall in winter

বর্ষা মানেই চুলের সমস্যায় নাজেহাল সকলেই। কখনও চুল পড়া কিংবা চুলের রুক্ষতা। তার সঙ্গে চুলের জেল্লা প্রায় নেই বললেই চলে। বর্ষায় আর্দ্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এইসব সমস্যা ক্রমাগতই বাড়তে থাকে। বৃষ্টি পিএইচ ভারসাম্য ব্যাহত করে এবং সেই থেকেই যত সমস্যার সূত্রপাত। খুশকির উপদ্রব, অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়া আরও কত কি। 

Advertisment

তাহলে এর কি কোনও সমাধান নেই? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রিংকি কাপুর এই প্রেক্ষিতে বলেন, একটু যত্ন আর কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার ত্বকের সমস্যা কম করতে সাহায্য করে। চুল সুন্দর যেমন রাখে তেমনই এর আঠালো ভাব দুর করে একে উজ্জ্বল এবং মজবুত করে তোলে। তবে ঘন এবং মজবুত চুলের রহস্য গুলো জেনে নিই? 

• সপ্তাহে দুবার তেল লাগাতে হবে। অল্প পরিমাণে তেল এবং হালকা হতে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ। প্রায় ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সাধারণ তাপমাত্রা হোক কিংবা অল্প গরম ( Hot oil ) 

চুলের পক্ষে দুটোই ভালও। নারকেল তেলের থেকে ভালও বিকল্প আর কিছুই নেই। 

• শ্যাম্পু তো সবাই করে, তবে ভালোভাবে শ্যাম্পু করার পদ্ধতি কিন্তু জানতে হয়। চুল আগে ভালও করে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। হালকা হাতে ম্যাসেজ করতে হবে। এস এল এস ফ্রি শ্যাম্পু বেশি ভালও চুলের পক্ষে। 

• শ্যাম্পুর পর ভালও কন্ডিশনার লাগাতে একদম ভুলবেন না। চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং জট পড়া থেকে বাঁচায়। তবে কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় না লাগাই ভালও। অল্প পরিমাণে লাগিয়ে নেওয়ার ১৫ মিনিট পরেই ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা জল দিয়ে। 

•  চুল শুকানোর ক্ষেত্রে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করলে বেশি ভালও। চুল তোয়ালে দিয়ে ভাল করে মুছে নেওয়ার পরেই সাধারণ প্রকৃতির হাওয়ায় চুল শুকানোর অভ্যাস করুন। 

publive-image

• ছোট চুল হলে সমস্যা নেই তবে চুল লম্বা হলে একে সবসময় খোলা রাখবেন না। বেঁধে রাখুন। বাইরে বেরোলে টুপি কিংবা কোনও কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। বিশেষত গরম কালে ধুলোবালি থেকে চুল বাঁচিয়ে চলা উচিত। 

তবে শুধু এগুলোই না, চুল ভালও রাখতে গেলে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো উপটান কিন্তু দারুন কাজ দেয়। চুলের সৌন্দর্য আর সুস্থতা বজায় রাখতে গেলে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলির বিকল্প আর কিছুই নেই;

• নিম এবং হলুদের মিশ্রণ : দুটিই ভীষণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং ভিটামিন সি তে ভরপুর। এন্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, এন্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদের চমৎকার ভাবে খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নিমের রস ব্যবহার করুন এবং তুলোর সাহায্যে মাথার স্ক্যাল্পে লাগান। ১৫-৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

• আম এবং পুদিনার মিশ্রণ : আমের পাল্প এর সঙ্গে পুদিনা পাতার গুড়ো মিশিয়ে নিন। চুলের এই প্যাকটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মত। কেমিক্যাল মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

< আরও পড়ুন পিগমেন্টেশন আর দাগ থেকে মুক্তি পেতে চান? পুদিনার থেকে ভাল কিছু আর নেই >

• হিবিস্কাশ পাতা, সঙ্গে অল্প পরিমাণ লেবুর রস এবং এবং পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে ভালও প্যাক তৈরি করুন। মাথায় লাগিয়ে নিন প্রায় ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। এটি চুলকে হাইড্রেট রাখে এবং ত্বকের সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। 

• মেথি বীজের গুড়ো, তুলসীর রস এবং কারি পাতা সমান অনুপাতে দিয়ে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। চুলে লাগিয়ে নিন, প্রায় ৩০ মিনিট রেখে দেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার এটি করা যেতেই পারে। অথবা প্রয়োজনে শুধু মেথির বীজ দিয়ে তৈরি মিশ্রণও ব্যবহার করতে পারেন। 

•  মধুর সঙ্গে কলা মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। তালু এবং চুলে লাগিয়ে নিন। এক ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুলের শুষ্কতা দূর করবে, চুলকে নরম এবং মসৃন করে তুলবে। 

তাই চুল ভালও রাখতে এটুকু খাটনি করাই যায় তাইনা?

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tips haircare monsoon
Advertisment