সূর্যের আলোয় নিজেকে দাঁড় করিয়ে ভিটামিন বি৩ এর উল্লেখ অনেকেই জানেন কিন্তু চাঁদের আলোয় রাখা জল ঠিক কতটা শরীরের পক্ষে দরকারি অথবা কার্যকরী সেই সম্পর্কে জানেন কি? এমনিতেও জোৎস্নার আলো অনেকেই উপভোগ করতে ভালবাসেন। জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ চিকিৎসক নিতীকা কোহলি।
Advertisment
চাঁদের আলোয় রাখা জল, শরীরের সঙ্গে সঙ্গেই মনের ওপরেও যথেষ্ট কাজ করে। শুধু তাই নয় ইমোশনাল অপ্লিফটিং এই জলের মধ্যে দিয়ে যথেষ্ট কমে। শরীরের শুষ্ক ভাব কিংবা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে এই জলের কাজ যথেষ্ট বেশি। শরীরের হলোস্টিক ভাব দূর করতে হলে এই উপায় একবার দেখতে পারেন।
বেশ কিছু বিষয়ে এটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নিয়ে থাকে, যেমন?
চাঁদের জল, সবরকম শারীরিক সমস্যার মধ্যে যে বিষয়টিকে সবথেকে আগে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সেটি হল, মেনস্ট্রুয়েশন সাইকেলকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ জানাচ্ছে, চাঁদের জল এবং ঋতুস্রাবের সময় পারস্পরিক সম্পর্কিত।
শরীরের হাড় মজ্জা এবং, একে এক অনন্য শক্তি প্রদান করে। চাঁদের জল পেশীতে আলাদারকম শক্তি প্রদান করে। এছাড়াও শরীরের গ্লানি দুর করতে অনেকটা উপকার করে।
স্কিনের ক্ষেত্রেও কিন্তু এর ভূমিকা যথেষ্ট রয়েছে। স্কিনের উজ্জ্বল এবং সতেজ ভাব এই জলের থেকে আরও বেড়ে যায়। যদি প্রতিদিন এটির সেবন করা যায় তবে, অবশ্যই স্কিনে ভাল ফল দেবে।
আয়ুর্বেদ বলে, PCOS থাকলেও এই জল বেশ উপকারী। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই এই জল খালি পেটে পান করা উচিত।
যদিও বা কিছুটা কাল্পনিক মনে হতে পারে। তবে আয়ুর্বেদে ধারণা করা হয় পূর্ণিমার পর থেকে চাঁদের আলোর জ্যোতি পৃথিবীর সবকিছুর ওপরেই হালকা শক্তি বাড়িয়ে তোলে। যেমন সূর্যের আলোর গুণ রয়েছে। তেমন এটিরও রয়েছে। চাঁদের আলোয় পাত্র করে জল বাড়ির এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন সেটি সরাসরি এর স্পর্শে আসে। তাহলেই কাজ হবে।