সেহরি (সূর্যোদয়ের আগে খাবার খেয়ে নেওয়ার রীতি)-র পর আহমেদ প্রথম খেয়াল করেন তার রুমমেট তাপস ভগবতী কোনও এক কারনে খুব চিন্তিত। তাপস নিজে সে রাজ্যের রক্তদানের একটি দল ‘টিম হিউম্যানিটি’র সদস্য। আগের রাতেই তাপস তার দলের সদস্যদের থেকে খবর পায় দুই ইউনিট ও নেগেটিভ রক্ত দরকার এক রোগীর। অনেক খোঁজার পরেও ধেমাজি জেলায় রোগীর পরিবার তাঁর গ্রুপের রক্ত জোগাড় করতে পারেননি”।
আরও পড়ুন, তিন বছরের শিশুকন্যার ধর্ষণ ঘিরে ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর
আহমেদ এবং তাপস দুজনেই গুয়াহাটির স্বাগত সুপার স্পেশালিটি সার্জিকাল হাসপাতালে কর্মরত। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ওই রোগীর হাসপাতালে ছুটে যান দুজনেই। আহমেদ জানান তিনি উপবাসে রয়েছেন, কিন্তু রক্ত দিতে চান। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন রক্ত দিতে চাইলে উপোষ ভাঙাই কাম্য। সেই মুহূর্তে রোজা ভাঙেন আহমেদ।

জানা গিয়েছে রক্ত দানের পূর্বে এক মৌলবির পরামর্শও নিয়েছিলেন পানাউল্লা আহমেদ। মৌলবিও তাঁকে সে কাজে উৎসাহ দেন এবং রোজা ভাঙার পরামর্শ দেন।
দুই বন্ধুর রক্তদানের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে সবাইকেই নিয়মিত রক্তদানের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
Read the full story in English