ওজন কমানোর সবথেকে সহজ উপায় ভাল এবং পুষ্টিকর একটি ডায়েট। কিছু শক সবজি সঙ্গেই ফল এবং সীমিত কার্ব, প্রোটিন সঙ্গেই প্রচুর পরিমাণ জল। ডায়েটের বেসিক কিছু নিয়ম থাকে, বিশেষ করে খাবার খাওয়া বিষয়ে। কখন কখন কী কী খেতে হবে দারুণ নিয়ম মেনে চলতে হয়।
Advertisment
পুষ্টিবিদ সালোনি অরোরা বলছেন, ডায়েট কিংবা ওজন কমানোর প্রক্রিয়া বেশিরভাগ সময়ই ব্যর্থ হয়। তার সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে মানসিক চাপ এবং রাগ। এটি সবসময় আমাদের শরীরকে কার্যকরী ভাবে বিকশিত করতে পারে এমনটা নয়, বরং দেখা যায় দৈহিক ভাবে ভেঙে যেতেও এটি সমান ভূমিকা নেয়। কিছু কিছু ডায়েটে এমন ধরনের খাবার থাকে যার কারণে, শরীরের প্রয়োজনীয় কিছু ভেতরে যেতেই পারেনা, সবকিছুই কমে যায়। ফলেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পুনরায় নিজেদের রুটিনে ফিরে যায়, খাওয়াদাওয়া শুরু করে। ফ্যান্সি ডায়েট মানেই সেটি ব্যর্থ হবেই!
শুধু তাই নয়। ডায়েটের গরমিল হলেই সেটি মেটাবোলিজমে আঘাত করে। যেই মেটাবোলিজম বেড়ে যায় সঙ্গে সঙ্গেই ক্যালোরি বেশি ক্ষরন হয় সঙ্গে এবং আপনার শরীর সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে না। ফলেই যত মুশকিল দেখা যায়। যে কারণগুলি ডায়েট প্ল্যান ব্যর্থ হওয়ার পেছনে সবথেকে বেশি কার্যকরী তার মধ্যে ;
প্রথম, শুরু থেকেই নিজের পারফেক্ট বডি শেপ এবং খাবার দাবার নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলেই শেষে গিয়ে আর সামলানো যায় না। সেই দিকে একটু নজর দিতে হবে।
দ্বিতীয়, খাবার খেলেই হল না তার সঙ্গেই প্রয়োজন সঠিক পরিমাণ ক্যালোরি। শরীরে ক্যালোরি ঠিকভাবে না থাকলে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে তার মধ্যে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়া, অকারণে ওবেসিটি অথবা স্থূলতা এগুলি খুব স্বাভাবিক।
তৃতীয়, ওজন কমানো একেবারেই সহজ নয়। এতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মানসিক ভাবে সবার আগে তৈরি হতে হয়, কারণ খাবার খাওয়ার থেকে বেশি কষ্টদায়ক সেটিকে স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা।
চতুর্থ, ধৈর্য! ডায়েট করতে গেলে, রোগা হতে গেলে সবথেকে আগে ধৈর্য রাখতে হয়। নয়তো খুব মুশকিল। জ্বিভে লাগাম দিতে হয়। তবে একটু আধটু চিট করলে একেবারেই সমস্যা নেই, সেই পরিমাণ যেন বেশি না হয়।